নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিজয় রথের চাকা আটকে দিয়ে গোটা দেশেই বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তারপরেই দলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভিন রাজ্যেও সংগঠন গড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। যার পরিপ্রেক্ষিতে গোয়া ও ত্রিপুরাতে সংগঠনের বিস্তার করেছে তৃণমূল। এর মধ্যেই পশ্চিম ভারতের দ্বীপ রাজ্যে দ্রুত সংগঠন গড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেরিও, লিয়েণ্ডার পেজ, নাফিসা আলির মত হেভিওয়েটদের যোগদান করিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সংগঠনের কাজে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। এর মাঝেই আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই ‘দিদির দূত’ নামাচ্ছে গোয়া তৃণমূল কংগ্রেস।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে একাধিক নেতারা গোয়া যাবেন, আর ‘দিদির দূত’-এর মাধ্যমে প্রচার করবেন সেরাজ্যে। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের টার্গেট রয়েছে বাংলার মতই গোয়াতেও ‘দিদির দূত’ পৌঁছে যাবে বহু মানুষের দরবারে। মৎস্যজীবী, সাফাই কর্মী, কৃষক মূলত সমাজের এই পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের কাছেই আপাতত পৌঁছাবে ‘দিদির দূত’। সেই দূতে থাকবে তৃণমূলের বাংলার নেতারা, এছাড়াও হাজির থাকবেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা অধুনা তৃণমূল নেতা লুইজিনহো ফালেরিও, লিয়েন্ডার পেজরা। সূত্রের খবর, আগামী ১৩ ডিসেম্বর গোয়া সফরে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে উদ্বোধন হবে ‘দিদির দূত’-এর।
বাংলায় একুশের নির্বাচনের আগেই একগুচ্ছ কর্মসূচী নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যার মধ্যে একটি ‘দিদির দূত’। যার মাধ্যমে জেলার কিংবা শহরের তৃণমূল নেতারা গিয়ে জনসাধারণের অভাব অভিযোগ শুনেছিলেন। এছাড়াও ‘দিদির দূত’ অ্যাপের মাধ্যমে নানান অভাব ও অভিযোগ শুনে ও নথিভুক্ত করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে সফল হওয়ায় এবার গোয়াতেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচীর প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।