এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

Unknown Source থেকে বিজেপির আয় ১,১৬১ কোটি, তৃণমূলের মোট আয় ৫৪৫ কোটি

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা তথা দেশের বুকে একটা খেলা একসময় খুবই জনপ্রিয় ছিল। এখনও আছে। Go as you Like। এখন দেশের রাজনীতিতে যেন সেই খেলাই চলছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। যে যত পারও নিজেদের সম্পত্তি বাড়িয়ে চল। Association for Democratic Reforms বা ADR নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনে(Election Commission of India) জমা দেওয়া গত অর্থবর্ষের অডিট রিপোর্টে বিজেপি(BJP) ১,১৬১ কোটি টাকা আয়ের উৎস হিসাবে Unknown Source-কে তুলে ধরেছে। মানে পাতি বাংলায় ‘জানা নেই’। ওই বিপুল পরিমাণ টাকা দলের অ্যাকাউন্টে কীভাবে এসেছে তা নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)-অমিত শাহের দলের কোনও নেতার জানা নেই। বিজেপির ঠিক পিছনেই রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) – অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। তাঁদের মোট আয় দেশের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে দ্বিতীয়, ৫৪৫ কোটি।

আরও পড়ুন ৫ বছরে দেশে Cess ও Surcharge-এ আদায় বেড়েছে ১৩৩ শতাংশ

তবে শুধু বিজেপিই নয়, Unknown Source থেকে আয় হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, এনসিপি, সিপিআই এবং বিএসপির মতো আরও ৬টি জাতীয় রাজনৈতিক দলেরও। দেখা যাচ্ছে এই ৭টি রাজনৈতিক দলের ভাণ্ডারে গত অর্থবর্ষে মোট ৩ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা জমা হয়েছে। তার মধ্যে অবশ্য ৬৬.০৪ শতাংশই মিলেছে Unknown Source থেকে যার মোট পরিমাণ ২ হাজার ১৭২ কোটি। কমিশনে জমা পড়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজেপির মোট উপার্জন ১ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। তারপরই রয়েছে তৃণমূল—৫৪৫ কোটি। তৃতীয় কংগ্রেস, তাদের উপার্জন ৫৪১ কোটি টাকা এবং সিপিএমের ১৬২ কোটি টাকা। সিপিআই? মাত্র ২ কোটি। শারদ পাওয়ারের দল এনসিপি এবং মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টির ভাঁড়ারে এসেছে যথাক্রমে ৭৫ এবং ৪৩ কোটি টাকা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাকি ৬টি বিরোধী দলের মোট আয়ের থেকেও বিজেপির Unknown Source থেকে উপার্জন ১৫০ কোটি টাকারও বেশি।

আরও পড়ুন Rahul Gandhi-কে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ভারত ছাড়ার নিদান সাধ্বী প্রজ্ঞার

নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, Electoral Bond এবং ২০ হাজার টাকার কম অনুদানকারীদের বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ না করলেও চলে। কিন্তু তার বেশি হলেই ‘পৃষ্ঠপোষকে’র পরিচয় এবং টাকার অঙ্ক জানানো বাধ্যতামূলক। তাহলে Unknown Source কারা? অবিজেপি দলগুলির কাছে এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কমিশনে জমা দেওয়া বিজেপির অডিট রিপোর্ট বলছে, গত আর্থিক বছরে তাঁদের উপার্জন ১ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭৫৫ কোটি টাকার অনুদান কোথা থেকে এসেছে, কে দিয়েছে, তা স্পষ্ট করেছে বিজেপি। বাকিটা পুরোটাই Unknown Source। অথচ, কোনও কুপন বিক্রি করে নাকি এই টাকা আসেনি। তাহলে এর উৎস কী? বিজেপির বক্তব্য, স্বেচ্ছা অনুদান মারফৎ তারা পেয়েছে ১২৭ কোটি টাকা। বাকি ১ হাজার ৩৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা এসেছে Electoral Bond থেকে। ‘মিসলেনিয়াস’ বা নানাবিধ খাতে যে টাকা দেখানো হয়েছে, সেটাও খুব কম নয়—২৪ লক্ষ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, State Bank of India বা SBI একমাত্র Electoral Bond বিক্রি করতে পারে। অর্থাৎ, তাদের কাছে রয়েছে অজানা সূত্রের ঠিকানা। যদিও তা তাঁরা জানাতে বাধ্য নয়। ফলে নির্বাচন কমিশন যদি এই অজানা সূত্র জানানোর ব্যাপারে বিজেপি বা SBI-য়ের ওপর কোনও কঠোর নির্দেশিকা চাপায়, তাহলেই শুধু ‘রহস্য উন্মোচন’ হতে পারে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগাম জামিনের আর্জি যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িত দেবগৌড়া পুত্র এইচ ডি রেভান্নার

রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ দেবগৌড়ার নাতির প্রাক্তন গাড়ি চালক

সিধু মুসেওয়ালার খুনের ‘মূলচক্রী’ গোল্ডি ব্রার মারা যাননি, গুজব ওড়াল মার্কিন পুলিশ

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ জানানোয় মুম্বইয়ের স্কুল অধ্যক্ষকে পদত্যাগের নির্দেশ  

কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে নেই সিবিআই, সুপ্রিম কোর্টে আজব যুক্তি মোদি সরকারের

যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িত দেবগৌড়ার নাতির বিরুদ্ধে জারি লুকআউট নোটিশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর