নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অবশেষে বাংলাদেশ সহ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় সরকার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশে ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি থাকলেও ১৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজের চালানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (DGFT) একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ” ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্টস লিমিটেডের (NCEL) মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে। ইতিমধ্যেই আমদানি ও রফতানি সম্পর্কিত নিয়মাবলী জারি হয়েছে।‘বাংলাদেশে রফতানির ক্ষেত্রে NCEL সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একথায় পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ হলেও বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
গত ৮ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত জারি হয়েছে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা। মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে সব জিনিসের। চরচরিয়ে দাম বাড়ছে পেঁয়াজেরও। সেই কারণে দেশে যাতে পর্যাপ্ত পরিমানে পেঁয়াজ সরবরাহ থাকে সেই দিকেই নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার।
চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানিতে টনপ্রতি ন্যূনতম রফতানি মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে সরকার। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের প্রাপ্যতা বাড়ানো এবং তাদের দাম নিয়ন্ত্রণ করা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২৯ নভেম্বর সারা দেশে পেঁয়াজের খুচরা মূল্য ৯৪.৩৯ শতাংশ বেড়ে ৫৭.৮৫ টাকা হয়েছে, যা এক বছর আগে ছিল ২৯.৭৬ টাকা কেজি। অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে পেঁয়াজ এবং টমেটোর দাম যথাক্রমে ৫৮% এবং ৩৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত দেশ থেকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি হয়েছে।