এই মুহূর্তে




সুদর্শন থেকে আইএনএস-বিক্রান্ত, ভারতের কোন অস্ত্রে ধরাশায়ী পাকিস্তান




নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়া দিল্লি: ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওইয়ামার রাস্তা ভেসেছিল ভারতের শহিদ সেনাদের রক্তে, চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল আরডিএক্সে উড়ে যাওয়া দেহখণ্ড। তারপর কেটে গিয়েছিল ৫ বছর। চলতি বছরের ২২ এপ্রিল  পহেলগাঁও হামলা দিয়ে আবার ভারতকে কার্যত খোঁচা মারে শরিফের দেশ। কিছু মানুষ ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন পহেলগাঁওয়ে, তাদের মধ্যে অনেকেই বাড়ি ফিরলেন নিথর হয়ে। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করে নিলেও পাকিস্তান নিজেকে নিরপরাধ দাবি করে। তার ফল হল অপারেশন সিঁদুর। জঙ্গিদেশের ঘরে ঢুকে একের পর এক সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করল ভারতের তিন বাহিনীর মিসাইল স্ট্রাইক। তার জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তানের ধরাশায়ী অবস্থা। ভারতের প্রত্যাঘাতে গুঁড়িয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র। এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে আর্জি জানিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার রাতেই পাক বাহিনীর হামলা বানচাল করেছে ভারতীয় সেনা। নামানো হয়েছে পড়শি দেশের দুটি জেএফ-১৭ এবং একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। পাশাপাশি সীমান্তে ড্রোন হামলার জবাবও দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। ভারতের কোন কোন অস্ত্রে ঘায়েল হল পাকিস্তান। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

এল-৭০: পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ড্রোন হামলার চেষ্টা করে বৃহস্পতিবার রাতে। তখনই উধমপুর, সাম্বা, জম্মু, আখনুর, নাগরোটা এবং পাঠানকোট সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলি অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম লঞ্চ করে। এর ফলে পাকিস্তানের পাঠানো ৫০টিরও বেশি ড্রোন ধ্বংস হয়।

এস-৪০০: শ্রীকৃষ্ণের সুদর্শন চক্র সমস্ত খারাপকে নিমেষে ধ্বংস করতে পারত। আজও ভারতে রয়েছে এমনই সুদর্শন। নাম তার এস ৪০০। এটি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করা। এই সুদর্শন চক্রের জেরেই পাকিস্তানের রকেট বিমান হামলার মোকাবিলা করে ভারত। বৃহস্পতিবার জম্মুর বিমানঘাঁটিতে রকেট হামলা চালালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধুনিক এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশেই পাকিস্তানের ছোড়া ৮টি মিসাইল ধ্বংস করে দেয়।

আইএনএস বিক্রান্ত: ভারতের আইএনএস বিক্রান্ত সমুদ্রের সম্রাট। পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তান তর্জন গর্জন শুরু করলেই ভারতীয় নৌবাহিনী আরব সাগরে আইএনএস বিক্রান্তকে মোতায়েন করেছিল। এমনই এমনই সে সমুদ্র সম্রাট নয়, বিক্রান্তের এই নৌবহরে রয়েছে একটি বিমানবাহী রণতরী, ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, সাবমেরিন-বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ এবং অন্যান্য সমরাস্ত্র।

জেডএসইউ-২৩-৪ (শিলকা): রাশিয়ান এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পোশাকি নাম জেডএসইউ-২৩-৪ হলেও, এটি শিলকা নামেই বেশি পরিচিত। এই অটোমেটিক সিস্টেমটি ২০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করে টার্গেট হানতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, এর গুলি চালনার ক্ষমতা প্রতি মিনিটে ৪,০০০ রাউন্ড। বৃহস্পতির রাতে ছোট ড্রোনগুলি মোকাবিলা করা হয়েছিল এগুলি দিয়েই।

আকাশ মিসাইল সিস্টেম: বুধ ও বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, চণ্ডীগড় এবং আরও ১৫টি শহরে ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিতে মিসাইল ও ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু আকাশ মিসাইল সিস্টেম পাকিস্তানের এই উদ্দেশ্য সফল হতে দেয়নি।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘ভারত আগে ছিল, আগেই থাকবে’, বাড়ি ফেরার পথে জানিয়ে গেলেন পূর্ণম

নির্মম! গাছের নিচে ঘুমিয়ে থাকা ব্যক্তির উপর ময়লা ফেলে নৃশংসভাবে খুন পুরকর্মীর

‘ভেঙে পড়েছে ভারতের বিদেশনীতি’, বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে তীব্র আক্রমণ রাহুল গান্ধির

জামিন মিলতেই গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের নিয়ে বিজয় মিছিল, লজ্জার ঘটনা কর্নাটকে

জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার আপ বিধায়ক রমন অরোরা

সোনিয়া-রাহুলের সংস্থায় কংগ্রেস নেতাদের অনুদান দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, দাবি ইডির

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ