নিজস্ব প্রতিনিধি: অস্ত্রোপচারের পর রোগীর দেহের মধ্যে ১২ দিন ধরে রয়ে গেল কাঁচি। আর যার ফলে মৃত্যু হল জয়পুরের মনসরোবর এলাকার বাসিন্দা এক বৃদ্ধের। এমনই অভিযোগ মৃতের পরিবারের। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
৭৪ বছর বয়সী উপেন্দ্র শর্মা হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে গত ২৯ মে জয়পুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতালে ভর্তির পরদিন ৩০ মে রাত সাড়ে ৮টার সময় বৃদ্ধের অস্ত্রোপচার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। রাত দেড়টা নাগাদ অপারেশন থিয়েটার থেকে উপেন্দ্রকে বের করে আনা হয়। এরপর ৩১ মে সন্ধ্যায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উপেন্দ্র শর্মার ছেলে কমলের অভিযোগ, বাড়িতে আনার দুদিন পর বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, সব ঠিক হয়ে যাবে, তবে একটু সময় লাগবে। কিন্তু তার মাঝে গত ১২ জুন উপেন্দ্র শর্মার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টায নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর ১৩ জুন মহারানী ফার্মের (Maharani Farm) শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বৃদ্ধের। ১৫ জুন সকালে তাঁর ছেলে কমল শ্মশানে দেহাবশেষ সংগ্রহ করতে গেলে দেহাবশেষের সঙ্গে অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত হয় এক জোড়া এমন কাঁচি পান। এই ঘটনার পর মৃতের পরিবার হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে জওহর সার্কেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্তে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রসাদী লাল মীনার (Parsadi Lal Meena) নির্দেশে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।