নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শিক্ষার হারে দেশের মধ্যে সবথেকে আগে। সাম্প্রদায়িকতা তথা কোনও ধর্মকেই মান্যাতা দেয় না যে দল সেই দলের শাসন চলছে রাজ্যজুড়ে। কিন্তু তার পরেও সাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মীয় ভেদাভেদ যে নিজের জায়গাতে আজও অটল, সাম্প্রতিক একটি ঘটনা প্রমাণ করল সেই কথাই। কেরলের একটি মন্দিরে আজ প্রায় ৩৭ বছর ধরে প্রত্যেকদিন ধর্মীয় অনুষ্ঠান করেন বিনোদ পান্নিকর। কিন্তু সম্প্রতি এই ৩৭ বছরের পুরনো শিল্পীকেই মন্দিরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মন্দির কমিটি। ওই শিল্পীর অপরাধ একটাই। সম্প্রতি তাঁর ছেলে একটি মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করেছেন। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ওই শিল্পীকে মন্দিরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি দক্ষিণের রাজ্য কেরলের। ওই রাজ্যের কান্নুর জেলার করিভেলুর কানিয়ান পারেমবেথুর ভাগাথি মন্দিরে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, বিনোদ পান্নিকর ওই মন্দিরের সবথেকে পুরনো শিল্পী। আজ থেকে প্রায় ৩৭ বছর আগে তিনি ওই মন্দিরে প্রথম অনুষ্ঠান করেছিলেন। তারপর আর কোনওদিন বন্ধ হয়নি সেই অনুষ্ঠান। আতি এই ঘটনায় সবথেকে বেশী আশ্চর্য হয়েছেন তিনি নিজে। তাঁর কথায়, ‘আমি ওই মন্দিরের একজন পূর্ণ-সময়ের শিল্পী এবং গত ৩৭ বছর ধরে এটি করছি। কিন্তু এর আগে আমি কখনও এতটা অপমানিত বোধ করিনি। যখন আমাকে বলা হয়েছিল যে এখন আমি মন্দিরে আর কাজ করতে পারব না কারণ আমার ছেলে একজন মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করেছে আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম।’
বিনোদ একজন পুরোকলি শিল্পী। এটি উত্তর কেরলের অত্যন্ত পুরনো এবং জনপ্রিয় একটি আচার শিল্প। পুরকালী নামের আক্ষরিক অর্থ হল ‘পূরমের দিনের খেলা’। উত্তর কেরলের বিভিন্ন জেলার মন্দিরে মন্দিরে সাধারণত এই পুরোকলি পরিবেশন করা হয়।