নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হিমাচল প্রদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই ইস্তফাপত্র জমা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। এই ঘটনার পরেই হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখু বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করিনি।‘ বর্তমানে হিমাচলে কংগ্রেস শিবিরে চলছে তুমুল রাজনৈতিক অস্থিরতা।বুধবার খোলাখুলিভাবে রাজ্যসভা ভোটে ক্রস ভোটিংয়ে সামিল ছয় কংগ্রেস বিধায়ককে সমর্থন জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের পুত্র বিক্রমাদিত্য সিং। শুধু তাই নয়, মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি নিজেও দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সূত্রের খবর, উপমুখ্যমন্ত্রীত্বের বিনিময়ে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে সামিল হওয়ার শর্তও দিয়েছেন তিনি। আর তাঁর সেই শর্ত মেনেও নিয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। আর এই আবহেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সুখবিন্দর সিং সুখুর পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে সুখবিন্দর সিংহ সুখকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে সক্রিয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের ছেলে বিক্রমাদিত্য সিং। আর ছেলেকে খুল্লামখুল্লা মদত জোগাচ্ছেন বীরভদ্র পত্নী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রতিভা সিংহ। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সুখকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে রাজি না হওয়ায় গতকাল রাজ্যসভা ভোটে বিক্রমাদিত্য ও প্রতিভা সিংহের ঘনিষ্ঠ বলে ৬ কংগ্রেস বিধায়ক দলীয় হুইপ অমান্য করে বিজেটপি প্রার্থী হর্ষ মহাজনকে ভোট দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন আরও তিন নির্দল বিধায়ক। ফলে হেরে গিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
মঙ্গলবার রাজ্যসভার ভোটের পরেই শিবির বদল করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত কথা বলতে বিজেপি শাসিত রাজ্য হরিয়ানায় পাড়ি দিয়েছিলেন ছয় বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক। শুধু তাই নয়, ওই বিধায়কদের সঙ্গে সামিল হচ্ছেন বিক্রমাদিত্য সিং-সহ আরও তিন বিধায়ক। ফলে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা এক ধাক্কায় কমে দাঁড়াচ্ছে ৩১। উল্টোদিকে বিজেপির শক্তি বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৩৭। এদিন সকালেই সুখবিন্দর সিংহ সুখুকে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেওয়ার জন্য রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর সহ বিজেপি নেতারা। রাজ্যপাল যে কোনও মুহুর্তে আস্থা ভোটের নির্দেশ দিতে পারেন এমন আঁচ পেয়ে পঞ্চকুল্লা থেকে সিমলায় পৌঁছেছেন বিদ্রোহী ছয় বিধায়ক।