নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সংসদ হানায় জড়িত থাকার অভিযোগে মহেশ কুমাওয়াত নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। মূলত সংসদ হানার মূলচক্রী ললিত ঝা-কে দিল্লি থেকে পালানোয় সাহায্য করার অপরাধেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হল।
গত বুধবার দুপুরে আচমকাই সংসদ চলাকালীন লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপিয়ে সাংসদদের বসার আসনে পৌঁছে যান ডি মনোরঞ্জন ও সাগর শর্মা নামে দুই যুবক। দুজনেই কর্নাটকের মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার ইস্যু করা দর্শক পাস নিয়ে লোকসভায় ঢুকেছিলেন। সাংসদ আসনে পৌঁছে যাওয়ার পরেই মনোরঞ্জন ও সাগর সাংসদদের লক্ষ্য করে রং বোমা ছুড়তে থাকেন। প্রথমে খানিকটা হতচকিত হয়ে পড়লেও সম্বিৎ ফিরে পাওয়ার পরে দুজনকেই পাকড়াও করেন সাংসদরা। তাদের নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মনোরঞ্জন এবং সাগর যখন লোকসভার ভিতরে রং বোমা ছুড়ছিলেন তখন সংসদ ভবনের বাইরে ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’ বলে শ্লোগান দিয়ে হুলুস্থুলু বাঁধিয়ে দেন নীলম ও আনমোল নামে আরও দুই যুবক-যুবতী। তাদেরও গ্রেফতার করা। চার জনকে জেরা করেই পুলিশ জানতে পারে সংসদ হানার মূল পরিকল্পনাকারী বিহারের বাসিন্দা ললিত ঝা। তাকে ধরতে হন্য হয়ে ঝাঁপিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ করেন ললিত। পাঁচ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বা ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পাতিয়ালা হাউস কোর্ট পাঁচ ধৃতকে জেরার জন্য সাতদিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে। ঘটনার পুনঃর্নির্মাণের জন্য অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে লোকসভার সচিবালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।