নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্য ২০২৪, মোদিকে দিল্লির মসনদ থেকে সরানো। তাই বারবার দিল্লি যাত্রা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। চারদিনের টানা দিল্লি সফরের পর নভেম্বরের ৩০ তারিখ মুম্বই যাচ্ছেন একাধিক কর্মসূচি নিয়ে। আগামী ২০ ও ২১ এপ্রিল রাজ্যে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন, আর সেখানেই বিনিয়োগ টানতে দেশ-বিদেশের শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার মধ্যে তাঁর প্রথম সফর শুরু হচ্ছে মুম্বই দিয়ে। চারদিনের দিল্লি সফর শেষ করে মুম্বই উড়ে গিয়ে একাধিক শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা। তালিকায় মুকেশ আম্বানি, অনিল আম্বানি, লক্ষ্মী মিত্তল ও জিন্দাল গোষ্ঠীরা যেমন রয়েছেন তেমনই বৈঠক হতে পারে গৌতম আদানির সঙ্গেও। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদি বিরোধী হলেও কোনও শিল্পপতির বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি কোনওদিন।
আগামী ৩০ তারিখ মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মমতা। দু’দিনের সফরে রয়েছে ঠাসা কর্মসূচি। শিল্পপতিদের বাণিজ্য সম্মেলনে আহ্বান জানাবার কথা তাঁর। তৃতীয়বারের জন্য সরকারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল লক্ষ্য শিল্প। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও এই সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন মমতা। যেহেতু কেন্দ্রে এখন বিজেপি সরকার। তাই শিল্পপতিদের বিনিয়োগ অনেকটাই কেন্দ্রের নির্দেশেই হয়। সেই কারণেই মোদিকে বাণিজ্য সম্মেলনে ডেকে দেশের সমস্ত শিল্পপতিদের জন্য বাংলার দরজা খুলে দিলেন মমতা। মুম্বই সফরে রাজনৈতিক কাজও রয়েছে মমতার। কংগ্রেস বাদে দিল্লিতে মোদি বিরোধিতা নিয়ে আলোচনা করার কথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। আলোচনা হবে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও।
এই বিষয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে জানিয়েছেন, ‘আমি মুম্বই যাচ্ছি। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে ও শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করব।’ হাতে আর সময় বেশি নেই, ২০২৪ দিল্লি দখলের লড়াই শুরু হয়ে যাবে ২০২২ উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের পরবর্তীতেই। এছাড়াও বাংলার জন্য শিল্পের জোয়ার আনতেও বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মুম্ই সফরে গিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারতেই চাইছেন মমতা।