নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনদিনের সফরে পশ্চিমের দ্বীপরাজ্য গোয়াতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়েই শুক্রবার একগুচ্ছ কর্মসূচী রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। তার আগে গোয়াতে ভাষণ দিতে গিয়ে সেখানকার বিজেপি সরকার ও কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সাইনবোর্ড হতে গোয়ায় আসিনি। তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট গোয়ায় সর্বশক্তি দিয়ে লড়বে তৃণমূল। তাই নিজের হাতেই সংগঠন দেখতে গোয়ায় গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তাঁর উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেত্রী-সমাজকর্মী নাফিসা আলি।
সূত্রের খবর, আরও বেশকিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি আজ তৃণমূলে যোগদান করবেন গোয়াতে। এদিন গোয়ানিজ ভাষায় বক্তব্য রাখতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রীকে। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা কোনওদিন জাতপাতের রাজনীতি করিনা। হিন্দু-মুসলিম-শিখ-ইসাই ভাগাভাগি করিনা। হিংসার রাজনীতি করিনা। গোয়ার প্রথম আকর্ষণ হল পর্যটন। তাই সেটাকে আরও বেশি ভালো করে সাজাতে চাই। পরের বার আসব তখন গোয়ায় গ্রাম গুলো ঘুরব। এখানে আমি মুখ্যমন্ত্রী হতে আসিনি, লক্ষ্য গোয়ায় উন্নয়ন করা। আমাদের দল সর্বভারতীয় দল যারা আসতে চায় আসতে পারে। একটা সর্বভারতীয় দল চাইলে যে কোনও রাজ্যে যেতে পারে, সংগঠন করতে পারে। কিন্তু আমরা গেলেই কালো পতাকা দেখাচ্ছে, পুলিশ সভার অনুমতি দিচ্ছে না।’
জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব বাড়াতে ত্রিপুরার মতো গোয়া’র ৪০ আসনের বিধানসভাও এখন ঘাসফুল শিবিরের পাখির চোখ। আগামী বছরেই সেই রাজ্যে নির্বাচন তাই সেরাজ্যে সংগঠন শুরুর কাজে গত কয়েক মাস ধরেই কোমর বেঁধে লেগে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শুরুতেই চমক দিয়ে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও তথা কংগ্রেস বিধায়ক লুজিনহো ফালেরিও তৃণমূলে যোগদেন। সঙ্গে আসেন একঝাঁক জনপ্রিয় কংগ্রেস নেতা। শুক্রবার গোয়ায় ঠাসা কর্মসূচী রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এদিনই রাস্তায় নেমে গোয়াবাসীর মনমেজাজ আর সমস্যা বোঝার কাজ শুরু করবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। তার আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানকার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী, আলোচনা হয় গোয়ার পরিস্থিতি নিয়ে। গোয়া তৃণমূলের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হল, ‘এটা সবে শুরু। নতুন ভোর গোটা রাজ্যের জন্যই আসতে বাধ্য। আসবে প্রকৃত উন্নয়ন, প্রকৃত বৃদ্ধি এবং গণতন্ত্র।’