নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: হন্য হয়ে খুঁজে বেরিয়েও অমিত শাহের অধীনস্ত দিল্লি পুলিশ ৩০ ঘন্টায় টিঁকি খুঁজে পায়নি তাঁর। নাটকীয়ভাবে বৃহস্পতিবার রাতেই রাজধানীর কর্তব্যপথ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন সংসদ হানার মূল পরিকল্পনাকারী ললিত ঝা ওরফে মাস্টারমশাই। আত্মসমর্পণের পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন দিল্লি পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। আজ শুক্রবারই আদালতে পেশ করে ললিতকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে দিল্লি পুলিশ।
গত বুধবারই সংসদ চলাকালীন লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে সাংসদদদের বসার জন্য নির্ধারিত আসনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দুই যুবক। কর্নাটকের মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার অতিথি হয়েই লোকসভার দর্শক গ্যালারিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন দুজনে। সাংসদ আসনে ঝাঁপিয়ে পড়েই রং বোমা ছুঁড়তে থাকেন দুজনে। নিমিষেই শোরগোল পড়ে যায়। জঙ্গি হানার আশঙ্কায় প্রাণ নিয়ে ছুটে পালান সাংসদদের অধিকাংশ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দুই হানাদার মনোরঞ্জন ডি এবং সাগর শর্মাকে পাকড়াও করে নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে তুলে দেন সাংসদরা। লোকসভার ভিতরে যখন দুই যুবক হানা দিয়েছিল, ঠিক সেই সময় সংসদের বাইরেও নীলম ও আনমোল শিন্ডে নামে দুই যুবক-যুবতী ‘তানাশাহি নেহি চলেগি’ শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান এবং রং বোমা ছোড়েন। তাদেরও পাকড়াও করা হয়।
চার জনকে সংসদ মার্গ থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করে দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে বিক্ষোভ দেখানোর মূল পরিকল্পনাকারী ললিত ঝা। গুরুগ্রামের ৭ নম্বর সেক্টরের হাউজিং বোর্ড কলোনির এক বাড়িতে ঘাঁটি গেড়েই গোটা পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই দিন সন্ধ্যাতেই গুরুগ্রামের বাড়ি থেকে বিক্কি শর্মা ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়। ললিতের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করে দিল্লি পুলিশের একাধিক টিম। যদিও সংসদ হানার মূলচক্রী অধরাই থেকে গিয়েছিল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছবি প্রকাশের পরেই লুকিয়ে থাকা অসম্ভব বলে বুঝতে পেরে রাতে কর্তব্যপথ থানায় গিয়ে ধরা দেন ললিত ঝা। আদতে বিহারের বাসিন্দা হলেও কলকাতায়ও কিছুদিন ঘাঁটি গেড়েছিলেন তিনি।