নিজস্ব প্রতিনিধিঃ উত্তরপ্রদেশের কানপুরে মর্মান্তিক ঘটনা। শিক্ষককে বাবা-মায়ের সমান গুরুর আসনে বসান মানুষ। শিক্ষকেরাই মানুষকে আলোর জগতে নিয়ে আসেন। অথচ এই শিক্ষকেরাই যখন সন্তানসম ছাত্রছাত্রীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় তখনই ঘুণ ধরা মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। এবার অপরাধে দায়ী শিক্ষিকার প্রেমিক।
১৭ বছর বয়সী নাবালক দশম শ্রেণীর ছাত্র। তাঁকে খুন করল টিউশন শিক্ষিকা রচিতার প্রেমিক। মুক্তিপণের দাবিতে নাবালকের পরিবারকে একটি চিঠিও দেন অভিযুক্ত প্রভাত শুক্লা। নাবালককে অপহরণ করা হয় বলে অনুমান পুলিশের।
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নাবালক স্বেচ্ছায় অভিযুক্ত প্রভাতের সঙ্গে বাড়ি থেকে স্টোর রুম পর্যন্ত যায়। অভিযুক্ত প্রভাত ছেলেটিকে বলেছিল যে, তাঁর শিক্ষিকা তাঁকে ডাকছে। ছেলেটি ও প্রভাতকে একসঙ্গে ঘরে ঢুকতে দেখা যায়। প্রায় ২০ মিনিট পর প্রভাত বেরিয়ে এলেও ছেলেটি বের হয়নি।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, এর পরে আর কেউ ঘরে প্রবেশ করেনি বলেই ধারণা। অভিযুক্ত তাঁর পোশাক পরিবর্তন করে। স্কুটারে করে চলে যায়।
এই মামলায় পুলিশ টিউশন টিচার রচিতা, তাঁর প্রেমিক প্রভাত, তাঁদের বন্ধু আরিয়ানকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, চিঠি দেওয়ার আগেই খুন করা হয়েছে ছেলেটিকে। চিঠিটি আসলে এক কৌশল ছিল। হত্যার আসল উদ্দেশ্যে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।