নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ভাবমূর্তি স্বচ্ছ নয়। উল্টে কোটি-কোটি টাকার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। গত তিন বছর ধরে মোদি সরকারের (Modi Government) বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যে বিবৃতি ছাড়া ইউপিএ চেয়ারপার্সন (UPA Chairperson) হিসেবে আর কিছুই করেননি। তাই সোনিয়া গান্ধিকে (Sonia Gandhi) আর চেয়ারপার্সন হিসেবে চাইছেন না ইউপিএ’র অধিকাংশ জোট শরিকদলগুলির শীর্ষ নেতারা। সূত্রের খবর, সোনিয়ার (Sonia Gandhi) পরিবর্তে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী (Bihar CM) নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) চেয়ারপার্সন চাইছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সভানেত্রীর কাছে শরিক দলগুলির পক্ষ থেকে বার্তা পাঠানো হয়েছে, সসম্মানে সরে দাঁড়ান। না হলে বৈঠক ডেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। শরিক দলগুলির কাছ থেকে এমন বার্তা পাওয়ার পরেই প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতারা।
আচমকাই সোনিয়াকে কেন সরানোর তোড়জোড় শুরু হল? এনসিপি’র এক নেতার কথায়, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে যদি মোদি বিরোধী জোট গড়তে হয় তাহলে কংগ্রেস সভানেত্রীকে ইউপিএ’র চেয়ারপার্সন পদে রাখা যাবে না। কেননা তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি, আম আদমি পার্টি, জনতা দল সেকুলার সহ বেশ কয়েকটি দলের কংগ্রেস সম্পর্কে তীব্র আপত্তি রয়েছে। ওই দলগুলির সঙ্গে যেমন বিজেপির লড়াই রয়েছে, তেমনই কংগ্রেসেরও লড়াই রয়েছে। কংগ্রেস বিরোধিতার বাধ্যবাধকতা রয়েছে তাদের। ফলে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন কোনও জোটে আসবে না। যদি বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের নামে আলাদা মঞ্চ গড়ে তাহলে গেরুয়া শিবিরই উপকৃত হবে। তাই তাদের কাছে পেতেই কংগ্রেসকে নেতৃত্ব থেকে সরাতে হবে।
ডিএমকে’র এক নেতার বক্তব্য, সোনিয়া গান্ধি কিংবা রাহুল গান্ধির ভাবমূর্তি স্বচ্ছ নয়। শরদ পওয়ারেরও বয়স হয়েছে। ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিন (M K Stalin) জাতীয় রাজনীতিতে খুব একটা আগ্রহী নন। ইউপিএ’র বাকি শরিক দলগুলির নেতাদেরও তেমন বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। যদি নীতীশ কুমারকে ইউপিএ’র চেয়ারপার্সন করা হয় তাহলে যেমন বিজেপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত পূর্ব ও মধ্য ভারতে ভাল ফল করা যাবে, তেমনই মোদি সহ বিজেপি নেতারাও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আক্রমণ শানাতে পারবেন না। তাই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীই প্রথম পছন্দ।