নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: রাজ্যে বিধানসভা ভোটে এড়ানো গেল না প্রাণহানি ও রক্তপাত। শুক্রবার ভোট চলাকালীন রাজনগরে বিজেপির সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী। শুধু রাজনগরেই নয়, ইন্দোর, মউ, মেহগাঁও-সহ একাধিক এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। কংগ্রেসের অভিযোগ, ‘ক্ষমতা হাতছাড়া নিশ্চিত বুঝতে পেরেই সন্ত্রাস চালিয়েছে বিজেপি।’ যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। আর গেরুয়া শিবিরের নেতাদের সুরে সুর মিলিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অনুপম রঞ্জন দাবি করৈচেন, ‘শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।’
এদিন সকাল থেকে রাজ্য বিধানসভার ২৩০ আসনে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার খানিক বাদেই বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর আসতে শুরু করে। রাজনগরে বিজেপি ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে প্রাণ হারান কংগ্রেস প্রার্থী বিক্রম সিং ওরফে নাটি রাজার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী সলমান খান। বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর যে আসনে প্রার্থী হয়েছেন সেই দিমানিতেও কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। মেহগাঁওয়ে ভোট চলাকালীন সংঘর্ষে জড়ায় বিজেপি ও আম আদমি পার্টির কর্মীরা। সংঘর্ষের সময়ে গুলি চলেছে বলেও অভিযোগ।
অন্যদিকে, এদিন সকাল থেকেই ভোটকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিকেল তিনটে পর্যন্ত গড়ে ৬০ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোটদানের হার ৮০ শতাংশ ছুঁতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। ভোট ঘিরে ভোটারদের মধ্যে বিপুল উৎসাহে আশাবাদী যুযুধান দুই শিবির কংগ্রেস ও বিজেপি। যদিও শেষ পর্যন্ত রাজ্যের কুর্সি কারা দখল করছে তা জানতে আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কেননা, ওইদিনই বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের সিল খোলা হবে।