নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার মুখেই ইস্তফা দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। জল্পনা, ‘মোদির মানসপুত্র’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে মতবিরোধের কারণেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। ‘শিরদাঁড়া’ সোজা রেখে দেশের পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার হওয়ার সুযোগকে লাথি কষিয়েছেন। অরুণ গোয়েলের আচমকা ইস্তফার পরে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। শনিবার লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার পরেই প্রাক্তন সতীর্থের ইস্তফা নিয়ে মুখ খুললেন রাজীব কুমার।
নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অরুণ গোয়েলের ইস্তফা নিয়ে কী বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার? এদিন এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রাক্তন সতীর্থের প্রশংসা করে রাজীব বলেন, ‘অরুণ গোয়েল নির্বাচন কমিশনের একজন সম্মানিত সদস্য ছিলেন। তার সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি খুশি। তবে প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত একটা জায়গা রয়েছে। সেই জায়গায় হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। তিনি (পড়ুন অরুণ গোয়েল) ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন। তবে তিনিই এ বিষয়ে সবচেয়ে ভাল বলতে পারবেন।’
ইস্তফার পরে নির্বাচন কমিশনের ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠ’ আধিকারিকরা রাজীব কুমারকে আড়াল করতে রটিয়েছিলেন, ‘স্বাস্থ্যের কারণেই নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অরুণ গোয়েল। যদিও পদত্যাগী কমিশনারের ঘনিষ্ঠরা সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন। তাঁদের পাল্টা দাবি ছিল, ‘ইস্তফা ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের শীর্ষ মহলের তরফে অরুণ গোয়েলকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। যদিও সেই অনুরোধ প্রত্যাখান করে পদত্যাগের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন তিনি।’