নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কথায় বলে ঢুঁশ না খেলে হুঁশ ফেরে না। শুক্রবারই বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তীব্র তিরস্কারের মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারকে। আর সেই ধমকের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই সুড়সুড় করে শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে হাঁটল মোদি সরকার। শনিবার কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু এক টুইটে জানিয়েছেন, ‘মাননীয়া রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পাঁচ জনকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন।’ পাঁচ বিচারপতি নিয়োগ হওয়ায় দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৪।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিভিন্ন হাইকোর্টের তিন প্রধান বিচারপতি ও দুই বিচারপতিকে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করার জন্য আইন মন্ত্রকের কাছে সুপারিশ করে সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম। ওই পাঁচ জন হলেন, রাজস্থান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তাল, পটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় কারোল, মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার, পটনা হাইকোর্টের বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানউল্লাহ এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি মনোজ মিশ্র।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ নিয়ে কোনও সাড়াশব্দ করেনি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক। আর তা নিয়েই শুক্রবার তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কাউল ও বিচারপতি এএস ওকা। আদালতে উপস্থিত মোদি সরকারের প্রধান আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটারামানির উদ্দেশে বলেন, ‘বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কলেজিয়াম যে সুপারিশ পাঠিয়েছে তার কী হলো? কঠোর ব্যবস্থা নিতে শীর্ষ আদালতকে বাধ্য করবেন না। কেননা, ওই সিদ্ধান্ত আপনাদের পক্ষ সুখকর হবে না।’ তীব্র তিরস্কারের মুখে পড়ে আমতা-আমতা করে অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছিলেন, ‘চলতি সপ্তাহেই শীর্ষ আদালতে পাঁচ বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।’