নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধির সাংসদপদ খারিজের পরে দলের অবস্থান কী হবে তা ঠিক করতে আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় বৈঠকে বসছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, রাহুলের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বয়কটের মতো নজিরবিহীন পথে হাঁটতে পারে দল।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুরাত আদালত মোদি মন্তব্য নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধির সাংসদপদ খারিজ করে দিয়েছিল। আর তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। দলের প্রাক্তন সভাপতির সাংসদ পদ খারিজ করে যে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করবে তা নিয়ে সন্দেহ ছিল না কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের। ফলে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের কথা শুনে খুব একটা বিস্মিত হননি কংগ্রেস শীর্ষ নেতারা। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কথায়, ‘সংসদের ভিতরে ও বাইরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্যই রাহুলকে শাস্তি দেওয়া হলো। কিন্তু রাহুলকে সংসদ থেকে বের করে দেওয়া হলেও মোদি-আদানি আঁতাত নিয়ে লড়াই চালানো হবে।’
দলের প্রাক্তন সভাপতির সাংসদপদ খারিজ নিয়ে বিজেপি ও লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতা। তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ শশী তারুরের কথায়, ‘রাহুলের সাংসদপদ খারিজ গণতন্ত্রের জন্য অশুভ সঙ্কেত।’ দলের আর এক নেতা জয়রাম রমেশ টিপ্পনি ছুঁড়ে বলেছেন, ‘ভারতীয় গণতন্ত্র, ওম শান্তি!’