নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নতুন সংসদ ভবনে সাংসদদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সংবিধানের কপি। আর সেই সংবিধানের কপিতে সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতন্ত্র’ এই দুটি শব্দ বাদ। এমনটাই অভিযোগ লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। ফলে ফের বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্র সরকার কিছু না জানিয়েই সংবিধানের মুখবন্ধে কাটছাঁট করেছে। আগামী দিনে সংবিধানও পাল্টে ফেলা হবে।
সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের আওতায় নতুন সংসদভবন মঙ্গলবারই দেশের সংসদভবন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। পুরোনো সংসদ ভবনের নাম প্রস্তাব করে ‘সংবিধান সদন’ রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সংবিধান হাতে নিয়ে অধিবেশনে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাংসদদের হাতে দেশের সংবিধানের প্রতিলিপি-সহ বেশ কিছু উপহার তুলে দেওয়া হয়। সেই সংবিধানের প্রতিলিপিতে সংবিধানের মুখবন্ধ থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতন্ত্র’ শব্দদু’টি বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধীর।
তিনি এক সংবাদসংস্থায় বলেন, “নতুন সংসদভবনে যে সংবিধান হাতে প্রবেশ করি আমরা, তার মুখবন্ধে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতন্ত্র’ শব্দদু’টি ছিল না। সংবিধানে ওই দু’টি শব্দ না থাকলে, অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। সরকার খুব চালাকির সঙ্গে এই পরিবর্তনগুলি করছে। ওদের উদ্দেশ্য মোটেও ভাল নয়”। তিনি মঙ্গলবারই বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করতে চেয়েছিলেন। তবে সেই সুযোগ পাননি বলেই জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের নাম পরিবর্তন নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিতর্ক শুরু হয়। সংসদের বিশেষ অধিবেশনে এই নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব আনতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার, দাবি বিরোধীদের। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে ভয় পেয়েই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত বলেও দাবি করেন বিরোধীরা। এবার দেশের সংবিধান নিয়েও শুরু হল বিতর্ক।