নিজস্ব প্রতিনিধি : সম্পর্ক তৈরি হয়ে একসঙ্গে থাকার পর একাধিক বার ‘প্রেমিক’ আফতাবের হাতে মার খেতে হয়েছিল শ্রদ্ধাকে। এমনকী, তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল। পুলিশি তদন্তে এই সব তথ্য উঠে আসছে।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ৩ থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুম্বইয়ের কাছে ভাসাই এলাকায় ওজোন মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে চর্তি ছিলেন। শ্রদ্ধার একটি ছবি শেয়ার করেছে তাঁর বন্ধু রাহুল রাই। তাতে দেখা যাচ্ছে, শ্রদ্ধার নাকে, গালে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ছবিটি হাসপাতালে ভর্তির সময় কিনা তা জানা যায়নি। রাহুল বলেন, ‘আমি ওকে (শ্রদ্ধা) পুলিশ স্টেশনে নিয়ে গিয়েছি। ওকে দু’-তিনবার মারা হয়েছে। ওকে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা হয়েছিল। পুলিশ শ্রদ্ধাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়ি পাঠায়। যদিও ও খুবই আতঙ্কিত ছিল’। রাহুল আরও জানান, শ্রদ্ধাকে যখন হাসপাতালে পাঠানো হয়, তখন তাঁর কোনও বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন ছিল না। কিন্তু ডাক্তাররা তাঁকে পরীক্ষা করে জানান, শ্রদ্ধার পিঠে অসহ্য ব্যথা রয়েছে। উনি ট্রমায় ভুগছেন। এছাড়া তাঁর অভ্যন্তরীণ আঘাত রয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক শিবপ্রসাদ শিন্ডে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শ্রদ্ধাকে বলা হলেও তিনি আর পরবর্তী চিকিৎসার জন্য আসেনি। শ্রদ্ধার আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু রজত শুক্লা বলেন, ‘কয়েক মাস আগে তাঁকে মারধর করা হচ্ছে বলে মেসেজ পাঠায় শ্রদ্ধা। ওকে বলা হয়। সম্পর্ক ভেঙে চলে আসতে। জবাবে ও বলে, চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না’।