এই মুহূর্তে




ওড়িশায় পাঁচ দিন ধরে দোলগোবিন্দ রূপে পূজিত হন মহাপ্রভু জগন্নাথ  




নিজস্ব প্রতিনিধি:  শুধু ভারত না, বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশগুলিতেও বিভিন্ন ভাবে পালিত হচ্ছে দোল উৎসব। এই জনপ্রিয় ও তাৎপর্যপূর্ণ হিন্দু উৎসবটি প্রেম এবং রঙের উৎসব নামেও পরিচিত ৷ পৌরাণিক কাহিনী মতে এটি রাধা ও কৃষ্ণের শাশ্বত ও ঐশ্বরিক প্রেম উদযাপনের উৎসব। তবে জানেন কী, ওড়িশার বিভিন্ন গ্রামে কত দিন ধরে দোল উৎসব পালন করা হয় ? যা জানলে হয়তো অনেকেই অবাক হবেন।

প্রচলিত নিয়মানুসারে দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে ওড়িশার উপকূলীয় জেলাগুলিতে পাঁচদিন ধরে ‘দোলগোবিন্দ’ হিসেবে পূজিত হন মহাপ্রভু শ্রী জগন্নাথ। দশমী থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত প্রতিদিন এই সমস্ত গ্রামে কৃষ্ণের পূজা করা হয়। এই সময়ে শ্রী রাধাকৃষ্ণের মূর্তি ভগবান জগন্নাথের প্রতিরূপে প্রতিস্থাপিত হয়, কারণ জগন্নাথদেব শ্রী কৃষ্ণেরই আরেক রূপ। দোল পূর্ণিমার মূল আকর্ষণ হল জগন্নাথদেবের শোভাযাত্রা, যেখানে তাঁকে পালকিতে করে ভক্তদের মাঝে বের করা হয়। এই সময় সন্ধ্যায় এক বিশেষ আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়। দুধওয়ালারা ভগবানকে তাঁদের কাঁধে নিয়ে যান, কারণ তাঁদের কৃষ্ণের বংশধর বলে মনে করা হয়। ভক্তরা সুগন্ধিযুক্ত আবির ও রঙ ছিটিয়ে আনন্দ উদযাপন করেন। পুজো ও শোভাযাত্রার শেষে ভগবান জগন্নাথকে বিশেষ স্নান করিয়ে পুনরায় সে সকল মন্দিরে ফিরিয়ে আনে গ্রামবাসীরা। জনশ্রুতি আছে, কিছু অঞ্চলে দোল পূর্ণিমার পর ওড়িয়া পঞ্চাঙ্গ (পঞ্জিকা) পাঠ করা হয়, যা নতুন বছরের সূচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

আবার, কোনও কোনও অঞ্চলে এই উৎসব দোল পূর্ণিমার পরেও দশমী পর্যন্ত উদযাপিত হয়, যা দাসা দোলা নামে পরিচিত। এই সময়কালে উপকূলবর্তী  বিভিন্ন গ্রামে বৃহৎ মেলা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়, যা এই অঞ্চলের দোলযাত্রার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। জানা যায়, এই গ্রামগুলিতে দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে গবাদি পশুদের বিশেষ যত্ন ও পূজা করা। কৃষ্ণলীলার অংশ হিসেবে গোপালক বালক কৃষ্ণের গবাদি পশুদের স্নান করানো হয়, সিঁদুর দিয়ে অভিষিক্ত করা হয়, মালা পরানো হয় এবং নানান রকমের খাবার খাওয়ানো হয়। এছাড়া এই সময়েই ওড়িয়া ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করা হয় এবং দোলাবেদীতে দোলগোবিন্দের সামনে এটি পূজা করা হয়।

শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরে বিশেষ সজ্জা ও আচার

প্রচলিত প্রথানুসারে দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে পুরীর শ্রীমন্দিরের গর্ভগৃহে রত্ন সিংহাসনে উপবিষ্ট তিন দেবতাকে সোনা ও নানা রত্ন দ্বারা অলঙ্কৃত করা হয়। এই সজ্জাকে রাজরাজেশ্বর বেসা বা সুনাবেসা বলা হয়, যা ভক্তদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। এই উৎসবের দিন সকালে শ্রী মন্দিরের দরজা ৩টেয় খোলা হয় এবং ভোর ৪টায় শুদ্ধিকরণের পর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর ভগবান শ্রী জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামকে অলঙ্কার পরানো হয় এবং তাঁদের বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। পুজো শেষ হওয়ার পর ভক্তরা একে অপরের গায়ে রঙ মাখিয়ে উৎসব পালন করেন। এই দিনটি ওড়িশায় বসন্তোৎসব নামেও পরিচিত।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার টোপে ছাত্রীদের ধর্ষণ, ৭২ ঘন্টা বাদে পুলিশি জালে হাথরসের অধ্যাপক

নিলামে রেকর্ড গড়ল মকবুল ফিদা হুসেনের আঁকা ছবি, বিক্রি হল কত টাকায়?   

সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে বৃদ্ধাকে ২ মাস ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট, অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ২০ কোটি

বিশ্বের সবচেয়ে দামি কুকুর! ৫০ কোটি দিয়ে কিনেছেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা

ছত্তিশগড়ে জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৩০ মাওবাদী, শহিদ এক ১ পুলিশ কর্মী

মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিল ইলন মাস্কের ‘এক্স’, সঙ্ঘাতের কারণ কী?

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর