নিজস্ব প্রতিনিধি : ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সোশ্যালিস্ট’ ও ‘সেকুলার’ শব্দটি বাদ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তুলেছে, ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর সংবিধান কার্যকরের দিন এক রেখে প্রস্তাবনা কী সংশোধন করা সম্ভব।
সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলের আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের করেছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ও আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন। সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ও বিষ্ণুশঙ্কর জৈনের মামলার ওপর ভিত্তি করে এদিন শুনানি হয় বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে। এদিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত জানান, সংবিধান কার্যকর হওয়ার দিন কী পরিবর্তন করা সম্ভব। যদি সংবিধানের প্রস্তাবনা পরিবর্তন করা যায়, তাহলে কোনও সমস্যা নেই।
একইসঙ্গে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত জানিয়ে দেন, ভারতের সংবিধানের এই প্রস্তাবনাতেই তারিখ উল্লেখ রয়েছে। একমাত্র এই প্রস্তাবনাতেই তারিখ উল্লেখ রয়েছে। প্রথমে যে সংবিধানের প্রস্তাবনাটি গৃহীত হয়েছিল, সেই প্রস্তাবনায় সেকুলার ও সোশ্যালিস্ট শব্দ দুটির কোনও উল্লেখ নেই। কোনও আলোচনা ছাড়াই প্রস্তাবনাকে সংশোধন করা যায় না। এইসময়ই মামলাকারী সুব্রহ্মণ্যম স্বামী উল্লেখ করেন, ৪২ তম সংবিধান সংশোধন ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৬ জরুরি অবস্থা জারির সময়ে করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ৪২ তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমেই সংবিধানের প্রস্তাবনায় সেকুলার ও সোশ্যালিস্ট শব্দ দুটির উল্লেখ করা হয়। এরপর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ জানিয়ে দেন, এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৯ এপ্রিল।