নিজস্ব প্রতিনিধি: কর্ণাটক হিজাব মামলায় জরুরি ভিত্তিতে শুনানি করতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, হোলির পরে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট একটি বেঞ্চ গঠন করবে।
হিজাব পরতে চাওয়া ছাত্রীদের আইনজীবী এদিন সুপ্রিম কোর্টে বলেন, ‘ছাত্রীরা ইতিমধ্যে এক বছর হারিয়েছে, তারা আরও একটি বছর হারাবে।’ আইনজীবীর এমন কথার উত্তরে আদালত বলে, ‘আপনি শেষ তারিখে এসেছেন। আমরা ছুটির (হোলি) পরে এটি গ্রহণ করব।’ আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘হিজাব পরা শিক্ষার্থীরা নিষেধাজ্ঞার কারণে ইতিমধ্যে এক বছর হারিয়েছে। এই শিক্ষাবর্ষে তাদের কী হবে? তারা কি এ বছরও হারাবে?’ জবাবে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না। হোলির ছুটির পর একটি বেঞ্চ গঠন করা হবে।’ এর আগেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরতে চাওয়া ছাত্রীদের তরফে এই বিষয়ে শুনানির আবেদন জানানো হয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে। আগামী ৯ মার্চ থেকে কর্ণাটকে কলেজগুলিতে পরীক্ষা শুরু হবে, তাই ছাত্রীদের হিজাব পরে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের শুরুতে কর্নাটকের উদুপিতে একটি সরকারি কলেজে পাঁচজন ছাত্রীকে হিজাব পরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। সেই ঘটনার পর পডুয়ারা কলেজের বাইরে বিক্ষোভ দেখায়। কর্ণাটকের বিভিন্ন কলেজের তরএ হিজাব পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর কলেজের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন হিজাব পরতে চাওয়া ছাত্রীদের একাংশ। সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে দাবি করে সর্বোচ্চ আদালতেও মামলা দায়ের হয়।