নিজস্ব প্রতিনিধি, চেন্নাই: দেশের শীর্ষ আদালতের চেয়েও নিজেকে শক্তিশালী মনে করছেন মোদি সরকারের ‘পোষ্যভৃত্য’ তথা তামিলনাডুর রাজ্যপাল আর এন রবি। ব্যহস্পতিবার তামিলনাডু বিধানসভায় পাশ হওয়া ১০টি বিল ফেরত পাঠিয়েছেন। আর তার ওই পদক্ষেপ আদালত অবমাননা বলেই মনে করছেন। তবে রাজ্যপালের ‘দাদাগিরি’ বন্ধে পাল্টা পদক্ষেপের পথে হেঁটেছেন তামিলনাডু বিধানসভার অধ্যক্ষ এম আপ্পাভু। আগামিকাল শুক্রবারই বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকেছেন তিনি। ওই অধিবেশনেই ফেরত পাঠানো বিল ফের পাশ করানো হবে। আর সেক্ষেত্রে বিপ্লবে ইতি ঘটিয়ে সুড়সুড় করে ওই বিলে স্বাক্ষর করতে হবে কেন্দ্রের ‘ভৃত্য’ তামিলনাডুর রাজ্যপালকে।
গত কয়েক মাস ধরেই পঞ্জাব, কেরল ও তামিলনাডুর মতো বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে কার্যত বিজেপি এজেন্ট হয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে। জনস্বার্থ সম্পর্কিত একাধিক বিল আটকে রাখার মতো অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি রাজ্যপালের বিল আটকানোর বিষয়টি নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পঞ্জাবের আপ সরকার। ওই মামলার শুনানি দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় পঞ্জাব ও তামিলনাডুর রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আগুন নিয়ে খেলা করছেন। আপনারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নন। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার কোনও বিল পাঠালে তা আটকে রাখার অধিকার নেই। অবিলম্বে বিল ছেড়ে দিতে হবে। বিল আটকে রাখার বিষয়টি যথেষ্টই উদ্বেগজনক।’
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের তিরস্কারেও টনক নড়েনি তামিলনাডুর রাজ্যপাল আর এন রবির। দেশের শীর্ষ আদালতের চেয়েও তিনি যে শক্তিশালী তা বোঝাতে বৃহস্পতিবারই ১০টি বিল ফেরত পাঠিয়েছেন। তামিলনাডুর শাসকদল ডিএমকে’র অভিযোগ, ‘বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন রাজ্যপাল রবি।’