এই মুহূর্তে




‘বাবা, এটাই আমার শেষ ফোন…’, মিথ্যা খুনের অভিযোগে দুবাইয়ে ভারতীয় মহিলার মৃত্যুদণ্ড




নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘এটাই তোমাদের কাছে শেষ ফোন আমার, আর জানিনা তোমাদের সঙ্গে কথা হবে কিনা, আমাকে এখন অন্য ঘরে স্থানান্তরিত করা হবে। হয়তো আর তোমাদের ফোন করতে পারবো না, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দাও, আমি তোমাদের জন্য কিছুই করতে পারলাম না’, দুবাইয়ের আবুধাবি কারাগার থেকে বাবা-মায়ের কাছে ফোন দিয়ে এমনটাই জানালেন উত্তরপ্রদেশের শেহজাদি। যাঁকে দুবাইয়ের একটি আদালত মিথ্যা অভিযোগের দায়ে সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ফোনে কাতর কন্ঠে পুরো বিষয়টি খুলে বলেন শেহজাদি, যা শোনার পর থেকেই কান্না থামছে না শেহজাদির বাবা-মায়ের। শেহজাদির বাবা, মা এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের কাছে দুবাইয়ে তাঁদের মেয়ের জীবন বাঁচানোর জন্যে আবেদন জানিয়েছেন। এবং দ্রুত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন। এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি কাঁদিয়ে দেবে আপনাকেও। কিন্তু শেহজাদির সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল? উত্তরপ্রদেশ থেকে কীভাবে তিনি দুবাই পৌঁছলেন?

উত্তরপ্রদেশের বান্ধা জেলার বাসিন্দা শেহজাদি, বয়স ৩৩ বছর। ভালই চলছিল তাঁর জীবন, কিন্তু ২০২১ সালে আচমকাই তাঁর জীবন উলটপালট হয়ে যায়। যখন তাঁর সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় আগ্রার বাসিন্দা আজিজ নামের একটি যুবকের। যিনি তাঁকে ফেসবুকে মিথ্যা প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে দুবাইতে পাঠায়। আজিজ তাঁকে প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসার নামে দুবাইতে একটি বিদেশী দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেয়। চাকরির প্রতিশ্রুতি দেখিয়ে আজিজ শেহজাদিকে দুবাইতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রেমে পাগল শেহজাদি একেবারেই বুঝতে পারেননি যে, তাঁকে বিদেশী দম্পতির কাছে বেচে দেওয়া হয়েছে। বাস্তবতা যে এর থেকেও ভয়াবহ। টাকার অভাবে বাড়ি ফিরতে পারেননি শেহজাদি, মিথ্যে প্রতিশ্রুতিতে বিদেশী দম্পতির বাড়িতেই তাঁকে গৃহকর্মীর কাজ করতে বাধ্য করা হয়।

পাশাপাশি তাঁর উপর চলত তাঁকে শারীরিক ও মানসিক পাশবিক নির্যাতন। এরপরেই আসে সেই জঘন্যতম দিন। যখন ওই বিদেশী দম্পতির সন্তান অনুপযুক্ত চিকিৎসার কারণে মর্মান্তিকভাবে মারা যায়। আর দোষ গিয়ে পড়ে শেহজাদির উপর। দম্পতি শেহজাদিকে শিশুটিকে হত্যার জন্য দায়ী করেন, এবং তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সম্প্রতি এই অভিযোগের ভিত্তিতেই দুবাইয়ের একটি আদালত শেহজাদিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। অর্থাৎ মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতেই কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে শে। জাদিকে। এরপরেই শেহজাদি কারাগার থেকে তাঁর বাবা-মাকে ফোন করে জানান, “বাবা, এটাই আমার শেষ ফোন আমাকে ক্ষমা করে দিও।”

কথোপকথনটি ছিল দুঃখে ভরা, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে বাবা-মা তাঁদের মেয়ের সঙ্গে শেষবারের মতো দেখাও করতে পারেননি। ন্যায়বিচারের জন্যে এখন শেহজাদির বাবা-মা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন। শেহজাদির বাবা-মা জানিয়েছেন, তাদের মেয়ে মানব পাচারের শিকার হয়েছে। দম্পতি এবং আগ্রার লোক আজিজ তাঁকে প্রতারণা করার পর মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করেছে। শেহজাদির বাবা-মা মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে একটি আইনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারা ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপিও পাঠিয়েছেন, যেখানে তাঁরা শেহজাদিকে নিরাপদে ভারতে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানিয়েছেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাওবাদীদের পুঁতে রাখা আইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু সিআরপিএফ জওয়ানের, আহত ১  

ভোটের আগে জোর ধাক্কা, নীতীশের ইফতার বয়কট মুসলিম সংগঠনগুলোর

ডিজনিল্যান্ডে ঘোরানোর নাম করে নিয়ে গিয়ে ছেলেকে গলা কেটে খুন মায়ের!

সিবিআইয়ের ক্লিনচিটের পর রিয়া চক্রবর্তীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি নেটিজেনদের

মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, বিয়ে থেকে ফেরার পথে চাকা ফেটে উল্টে গেল বরের গাড়ি, নিহত ৪

মর্মান্তিক! পিৎজা চেখে দেখতে গিয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শেফ

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর