এই মুহূর্তে




তিরুপতির লাড্ডুতে পশুর চর্বি, আতঙ্কে বাইরের প্রসাদ নিষিদ্ধ করলেন অযোধ্যা, মথুরা মন্দির কর্তৃপক্ষ




নিজস্ব প্রতিনিধি: তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু প্রসাদমে কথিত ভেজালের কারণে উত্তরপ্রদেশের সকল মন্দিরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রসাদ তৈরিতে আর কোনও অসতর্কতা অবলম্বন করতে চান না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষগুলি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর অভিযোগের ভিত্তিতে তিরুপতির লাড্ডু ল্যাব টেস্টে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই ২০ সেপ্টেম্বর রিপোর্টে প্রকাশিত হয় যে, তিরূপতির নৈবেদ্য লাড্ডুতে মেশানো হত দামী ঘিয়ের বদলে পাম তেল ও পশুর (শূকর) চর্বি। এরপর থেকেই শোরগোল পড়ে যায় ভক্তমহলে। হিন্দুধর্ম নিয়ে এমন অরাজকতা কখনই সহ্য করবেন না কেউই। এই ঘটনার পরেই উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা, প্রয়াগরাজ, মথুরার বড় বড় মন্দিরগুলিতে প্রসাদ পদ্ধতি ও নিয়মেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। অযোধ্যা মন্দিরের প্রধান পুরোহিত বাইরের সংস্থার কাছ থেকে প্রসাদ নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মথুরা মন্দির মিষ্টির পরিবর্তে ফল এবং ফুল গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রয়াগরাজের তিনটি বড় মন্দিরেও প্রসাদের নিয়ম পাল্টেছে। অযোধ্যার রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস জানিয়েছে, বহিরাগত সংস্থাগুলির দ্বারা আর রামমন্দিরের প্রসাদ প্রস্তুত করা হবে না। তিনি মন্দিরের নৈবেদ্যগুলিতে ব্যবহৃত ঘির বিশুদ্ধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং মন্দিরের পুরোহিতদের তত্ত্বাবধানে সমস্ত প্রসাদ প্রস্তুত করার আহ্বান জানিয়েছেন। সত্যেন্দ্র দাস সারা দেশে বিক্রি হওয়া তেল ও ঘি-এর গুণমান ভালোভাবে যাচাই করার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তিরুপতি বালাজির নৈবেদ্যে চর্বি ও মাছের তেলের কথিত ব্যবহার নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক বাড়ছে। প্রসাদে অনুপযুক্ত পদার্থ মিশিয়ে মন্দিরগুলোকে অপবিত্র করার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। এদিকে মথুরার ধর্ম রক্ষা সংঘ ‘প্রসাদম’ খাবারের প্রাচীন শৈলীতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ মিষ্টির পরিবর্তে ফল, ফুল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি প্রসাদ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রয়াগরাজের আলপ শঙ্করী দেবী, বড় হনুমান এবং মানকামেশ্বর সহ অনেক মন্দির ভক্তদের প্রসাদ হিসাবে বাইরে থেকে তৈরি মিষ্টি এবং অন্যান্য জিনিস আনতে নিষেধ করেছে। ললিতা দেবীর মন্দিরে শুকনো ফল ও ফল দিতে বলেছে।

এ বিষয়ে ললিতা দেবী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত শিব মুরত মিশ্র বলেছেন, প্রশাসন ভক্তদের শুধুমাত্র নারকেল, ফল এবং শুকনো ফল আনার জন্য অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মনকামেশ্বর মন্দিরের মহন্ত শ্রীধরানন্দ ব্রহ্মচারী জি মহারাজ বলেছেন, যতক্ষণ না তদন্তে মিষ্টির বিশুদ্ধতা স্পষ্ট হবে ততক্ষণ পর্যন্ত মন্দিরে কোনও মিষ্টি নিবেদন করতে দেওয়া হবে না। আলপ শঙ্করী দেবী মন্দিরের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া মহানির্বাণীর সেক্রেটারি যমুনা পুরী মহারাজ বলেছেন, ভক্তদের বাইরে থেকে মিষ্টি ও প্রসাদ আনতে দেওয়া হবে না। সঙ্গমের তীরে অবস্থিত বাদে হনুমান মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক এবং শ্রীমৎ বাঘামবাড়ি গাদ্দির প্রধান মহন্ত বলবীর গিরি জি মহারাজ বলেছেন, করিডোর নির্মাণ শেষ হওয়ার পরে, মন্দির ব্যবস্থাপনা নিজেই ‘লাড্ডু-প্যারা’ প্রসাদ প্রস্তুত করবে। সোমবার, লখনউয়ের বিখ্যাত মনকামেশ্বর মন্দিরও ভক্তদের দ্বারা বাইরে থেকে কেনা প্রসাদ নিষিদ্ধ করেছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘ভক্তরা এখন ঘরে তৈরি ‘প্রসাদ’ বা ফল দিতে পারেন। বাইরে দেওয়া প্রসাদের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে আমরাও পদক্ষেপ নিচ্ছি।’ এদিকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদেরও পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মহীরুহ পতন, ৮৬ বছরে না ফেরার দেশে পাড়ি রতন টাটার

পুজোর মধ্যেই সরকারি বাসভবন থেকে উচ্ছেদ করা হল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে

লক্ষ্য ভারতে হামলা? ঢাকায় গোপন বৈঠক হামাস, তালিবান ও পাকিস্তানের জঙ্গি নেতাদের

পুজো উপহার মোদি সরকারের, ২০২৮ পর্যন্ত মিলবে বিনামূল্যে রেশন

দিল্লির বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যাবে না কেজরির আম আদমি পার্টি

যোগী রাজ্যে পুলিশের সামনেই বিজেপি বিধায়ককে সপাটে চড় আইনজীবীর

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর