নিজস্ব প্রতিনিধি: বাদল অধিবেশনে পেগাসাস ও কৃষক আন্দোলন নিয়ে রাজ্যসভায় তুমুল হট্টগোল হয়। গত ১১ অগস্ট এই হট্টগোলের সময় ওয়ালে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ২০ জন সাংসদ। আর সেই ঘটনায় বিশৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে ১২ জন সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। সেই তালিকায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রী। আর এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতেই সংসদের বাইরে গান্ধি মূর্তির সামনে ধর্না দিয়েছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ।
এই সাসপেনশন প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন জানিয়েছেন, ‘সেদিন ২০ জন সাংসদ ছিল। কিন্তু মাত্র ১২ জনকেই সাসপেন্ড করা হল। বাকিরা সাসপেন্ড হয় নি কারণ, পঞ্জাবে ভোট আছে। অকালি দল কিংবা কংগ্রেসের পঞ্জাবের সাংসদদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা তো চলতেই থাকবে, আমাদের সাসপেন্ড করবে আবার অশান্তি হবে। মূল ব্যাপারটি হল বাদল অধিবেশনের সাসপেনশন শীতকালীন অধিবেশনে কেন? সেই কারণেই ধর্না দেব আমরা।’ এই সাসপেনশন প্রসঙ্গে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খারগে জানিয়েছেন, ‘সংসদে সাংসদদের এইভাবে সাসপেন্ড করা নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ। ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় নি। বিরোধী কণ্ঠস্বরকে গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা।’ এই ঘটনায় ১২ সাংসদের সাসপেনশন তুলে নেওয়ার জন্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে।
গত সোমবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই পেগাসাস ও কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা না করায় আন্দোলন করে ২০ জন সাংসদ। অনেকে সংসদ কক্ষে নিজেদের বসার টেবিলে উঠে জামা খুলে ঘোরাতে থাকেন। সেই সমস্ত সাংসদদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বাদল অধিবেশনেই আর্জি জানায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। কক্ষের ভিতরে এই অভব্য আচরণের ভিত্তিতে মার্শাল দিয়ে বাদল অধিবেশনেই বের করে দেওয়া হয় প্রত্যেক আন্দোলনকারী সাংসদকে। আর কেন্দ্রের করা আর্জির ভিত্তিতে গত সোমবার সংসদে নির্দেশ দেওয়া হয় ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড থাকবেন ১২ জন সাংসদ। যার মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ শান্তা ছেত্রী ও দোলা সেন, শিবসেনার দুই সাংসদ, সিপিএম ও কংগ্রেসের কিছু সাংসদ।