নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউ দিল্লি: বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উত্তরপ্রদেশের সম্বলে মদ্যপ অবস্থায় এক ব্য়ক্তি স্ত্রী এবং দুই সৎ মেয়েকে মারধর করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় একজন নাবালকের। স্ত্রী এবং অন্য আরেক সৎ মেয়েকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
অভিযুক্তের স্ত্রী শায়েস্তান পারভীন জানান, সন্ধ্যায় তার স্বামী নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ই-রিকশা চালিয়ে বাড়িতে আসেন। বাড়ি ফিরে তিনি খাবার খাওয়ার কথা বলেন। তাঁকে খাবার দেওয়া হলে সে আচমকাই রেগে যায়। এ সময় ওই ব্য়ক্তি তার দুই মেয়ে মান্নাত ও মানতাশাকে মারধর শুরু করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় মান্নাতের। মানতাশা ও তার মা গুরুতর আহত হন। এরপর প্রতিবেশীরা শব্দ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
নির্যাতিতা জানান, পাঁচ বছর আগে সরায়ত্রিনের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তার সঙ্গে থাকতেই দুই কন্যার জন্ম হয়। ছয় মাস আগে প্রথম স্বামীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর তিনি আবার বিয়ে করেন মুন্নাকে। তিনি জানান, তার দ্বিতীয় স্বামী কোনো না কোনো বিষয়ে তার মেয়েদের মারধর করতেন। বৃহস্পতিবার এক মেয়েকে খুন করে অন্য মেয়েকে আহত অবস্থায় ফেলে রাখে। প্রতিবেশিরা অভিযুক্তকে ধরে পুলিশে খবর দেয়। মেয়েদেরও জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় যেখানে মান্নাতের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মানতাশার চিকিৎসা চলছে।