নিজস্ব প্রতিনিধি, হায়দরাবাদ : অরবিন্দ কেজরিওয়াল, হেমন্ত সোরেনের পর বিজেপি-র বিরুদ্ধে তাঁর দলের বিধায়কদের (MLA) কিনে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী৷ এবার অভিযোগের সমর্থনে ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করলেন কে চন্দ্রশেখর রাও বা কেসিআর (KCR)৷ এই ভিডিও ক্লিপটি সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট ও বিরোধী দলগুলির কাছে পাঠাবেন বলে জানান কেসিআর। বিজেপি বিষয়টি অস্বীকার করলেও অস্বস্তি গোপন রাখতে পারেনি।
কয়েকদিন আগেই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর দলের চার বিধায়ককে বিপুল অঙ্কের টাকার টোপ দিয়েছে বিজেপি৷ দল বদলের জন্য টোপ দিতে তেলেঙ্গানার একটি ফার্ম হাউসে ওই বিধায়কদের ডেকে বৈঠকও করা হয় বলে অভিযোগ কেসিআর-এর৷ বৃহস্পতিবার সেই বৈঠকেরই একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর দাবি, গোপন ক্যামেরায় ফার্ম হাউসের ওই বৈঠকের ছবি তোলা হয়েছে৷ সাংবাদিক বৈঠকে পাঁচ মিনিটের ক্লিপ দেখালেও কেসিআর-এর দাবি, তাঁর কাছে এক ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে৷ যদিও তাঁর দলের বিধায়করা ওই প্রস্তাবে রাজি হননি বলেই দাবি কেসিআর-এর৷ তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির যে বিধায়কদের দল বদলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে চারজনকে বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক বৈঠকে হাজির করান তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
কেসিআর-এর অভিযোগ, বিজেপি-র পক্ষ থেকে তেলেঙ্গানার সরকার ফেলে দিতে এই টোপ দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপনির্বাচনের আগেই এই চেষ্টা করেছে বিজেপি৷ কেসিআর-এর দাবি, দল বদলের প্রস্তাব নিয়ে তাঁর দলের বিধায়কদের কাছে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা বৈঠক চলাকালীন অন্তত দশ বার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম নিয়েছেন, প্রধানমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও নাম শোনা গিয়েছে তিন বার৷ পাশাপাশি বিধায়কদের দল বদলে রাজি করাতে কর্নাটকের উদাহরণও দেওয়া হয়৷ এই ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করে বিচার ব্যবস্থার কাছে দেশকে বাঁচানোর আর্জি জানিয়েছেন কে চন্দ্রশেখর রাও৷ একই সঙ্গে এই ভিডিও ক্লিপ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের বিচারপতিদের এবং বিরোধী দলের নেতাদেরও তিনি পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন কেসিআর৷ তাঁর অভিযোগ, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি এবং রাজস্থানে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি৷ যদিও কেসিআর-এর তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি-র দাবি, ভাড়া করা অভিনেতাদের দিয়ে এই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে৷ যদিও অস্বস্তি ঢেকে রাখতে পারেননি গেরুয়া শিবিরের নেতারা। কারণ একের পর এক বিরোধী শাসিত রাজ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনার চেষ্টার অভিযোগ উঠছে।