নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে নজিরবিহীনভাবেই লোকসভা এবং রাজ্যসভা থেকে ইন্ডিয়া জোটের ১৪৬ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই সাসপেনশনের প্রতিবাদে শুক্রবার যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসেছেন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদ ও শীর্ষ নেতারা। ওই ধর্না মঞ্চেই এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার হুঙ্কার ছুড়েছেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষায় যে কোনও মূল্য চোকাতে রাজি।’
এনসিপি সুপ্রিমোর পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ইডি ও সিবিআইয়ের ভয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে পিছু হঠা হবে না। তাঁর কথায়, ‘লোকসভা ভোট যত এগোবে ততই কেন্দ্রের শাসকরা বিরোধী জোটের নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি ও সিবিআইকে লেলিয়ে দেবে। কিন্তু ইডি ও সিবিআইয়ের ভয়ে চুপ করে বসে থাকব না। মোদি সরকারের স্বৈরাচারী ও একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবেই লড়াই চালাব।’
ধর্না মঞ্চে হাজির ছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধিও। বিজেপির পোষ্য গদি মিডিয়াকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘সংসদে দুজন ঢুকে পড়লে। রং বোমা ছুড়লেন। হামলার সময়ে বিজেপি সাংসদরা ভয়ে পালিয়ে গেলেন। বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন বিরোধী সাংসদরা। অথচ সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রশ্ন তোলার অপরাধে বিরোধী দলের সাংসদদেরই বের করে দেওয়া হলো। আজ সংবাদমাধ্যম দেশের বেকারত্ব নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলছে না। বিরোধী সাংসদদের সাসপেনশন নিয়ে টুঁ শব্দটি করছে না। কেন রাহুল গান্ধি সংসদ চত্বরে ধর্নায় বসা সাংসদদের ভিডিয়ো তুললেন তা নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।’