নিজস্ব প্রতিনিধি: কী কাণ্ড! সরকারি চাকুরে পাত্র পেলে কে ছাড়ে, যেন হাতের মুঠোয় ভগবান পেয়ে যাওয়া! বর্তমানে সরকারি চাকুরের খোঁজে থাকেন সকল বাবা-মায়েরা। তা বলে এক্কেবারে হবু জামাইয়ের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেবেন হবু শ্বশুর, এর আগে এমন কোনও ঘটনা শুনেছেন কী? হ্যাঁ, এবার এহেন মামলার সঙ্গে নাম জড়াল বিহারের। গৌতম কুমার নামক একজন ব্যক্তি সম্প্রতি শিক্ষক হওয়ার জন্য বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু চাকরি পেয়ে একটু আমোদ-প্রমোদে নিজেকে ব্যস্ত করবেন কী, তা নয়! বুধবার আচমকাই তাঁর স্কুলের সামনে জড়োসড়ো হয়ে যায় তিন থেকে চারজন যুবক। তাঁরত স্কুলে এসে তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
এমনকী ওই ব্যক্তির মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপহরণকারীদের মধ্যেকার একজনের মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। ব্যস, হৈচৈ পড়ে যায় সেই চত্বরে। একজন ব্যাচেলর হওয়া থেকে অপরিকল্পিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বোধহয় ইতিহাসের সর্বশেষ সংযোজন। অবিবাহিত পুরুষের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বিয়ে করানোর প্রথা এটা একটু বিরল বটেই। পুলিশের মতে, অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বৈশালী জেলায় যেখানে মিস্টার কুমার পাতেপুরের রেপুরার উত্তক্রমিত মধ্য বিদ্যালয়ে নবনিযুক্ত শিক্ষক। ঘটনার পর, মিঃ কুমারের পরিবার বুধবার রাতে একটি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। এবং পুলিশ তৎক্ষণাৎ নিখোঁজ শিক্ষকের অনুসন্ধানে বেরোলেন বেরিয়ে আসে বিস্ফোরক তথ্য। এই ঘটনায় মিঃ কুমারের পরিবার রাজেশ রাই নামে এক ব্যক্তির উপর দোষ চাপিয়েছে। তারা মিঃ রাইয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে মিঃ কুমারকে জোর করে তুলে নিয়ে মিঃ রাইয়ের মেয়ে চাঁদনীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছে।
মিঃ কুমার, বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় তিনি নাকি শারীরিক নির্যাতনের শিকারও হয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছেন, মিঃ কুমার একটি সাম্প্রতিক পাটনা হাইকোর্টের রায়ের উপর জোর দিয়েছিলেন যা নওয়াদা আর্মিম্যান এবং লক্ষীসরাই মহিলার মধ্যে একটি দশ বছর বয়সী জোরপূর্বক বিবাহ বাতিল করেছে। পুলিশের মতে, মামলার বিষয়ে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার তদন্ত শুরু হয়েছে।