এই মুহূর্তে




জুবিনের মৃত্যুকাণ্ডে ধৃতদের কারাগারে নেওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিনিধি: সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন প্রখ্যাত অসমীয়া গায়ক জুবিন গর্গ। তাঁর রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে গায়কের ম্যানেজার, নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজক, গায়কের তুতো ভাই এবং তাঁর দুইজন ব্যান্ডমেট। অভিযোগ, গায়কের মৃগী রোগ ছিল। তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে সিঙ্গাপুরে ডেকে জলে নামানো হয়েছে। আবার গায়ককে বিষ দেওয়ারও অভিযোগ ছিল। জুবিন গর্গের মৃত্যুতে আকস্মিক মৃত্যুতে হতবাক গোটা দেশ। অনুরাগীরা গায়কের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয়। তাঁরা তদন্ত চেয়েছে, গায়কের পরিবারও তদন্ত চায়। ইতিমধ্যেই অসম সরকার গায়কের মৃত্যু তদন্তের জন্যে SIT গঠন করেছে। তদন্তে এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বুধবার একটি চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছে। আজ গর্গের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতারকৃত পাঁচজনকে নবনির্মিত কারাগারে স্থানান্তরিত করার সময় অসমের বাকসা জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। সূত্রের খবর, ৬ অপরাধীদের দেখে গর্গের ভক্তরা পাথর ও চপ্পল ছুঁড়ে মারে, হামলা চালানোর চেষ্টা করে।

জানা যায়, ভক্তরা অভিযুক্তকে বাকসা কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। কেননা তাদের ধারনা নবনির্মিত কারাগারে অপরাধীদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। এমনটাও অভিযোগ উঠেছে যে, রাজ্য সরকার অভিযুক্তদের রক্ষার চেষ্টা করছে। নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যালের (এনইআইএফ) প্রধান আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত, জুবিনের ব্যবস্থাপক সিদ্ধার্থ শর্মা, তার তুতো ভাই তথা পুলিশ কর্মকর্তা সন্দীপন গর্গ, তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা (পিএসও) নন্দেশ্বর বোরা এবং প্রবীণ বৈশ্যকে বুধবার কামরূপের প্রধান বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। তখনই আদালত তাদের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালত রায় দেয় যে, তাদের এমন একটি কারাগারে পাঠানো উচিত যেখানে কম বন্দী রয়েছে। সেই অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষ পাঁচজন অভিযুক্তকে মুষলপুরের বাকসা কারাগারে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়, যা দুই মাস আগে উদ্বোধন করা হয়েছিল। যেখানে এখনও কোনও বন্দী নেই। আর তাতেই আপত্তি জানিয়েছে ভক্তরা।

মহন্ত এবং শর্মাকে গত ১ অক্টোবর দিল্লিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এর বিভিন্ন ধারায় হত্যা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং অবহেলার কারণে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে, পরে খুনের অভিযোগও যুক্ত করা হয়েছে। তাদের দুজনকেই ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল, যা মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। জুবিনের তুতো ভাই এবং অসম পুলিশের ডিএসপি সন্দীপন গর্গকে ৮ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এরপরেই, কামরূপ জেলার বোকো-ছায়গাঁওয়ের সহ-জেলা পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা সন্দীপনকে বরখাস্ত করা হয়। অভিযুক্তের পুলিশ অফিসারটি গায়কের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। গায়কের দুই পিএসওকে ১০ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়। এবং তাদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। জুবিনের ব্যান্ড সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী এবং গায়ক অমৃতপ্রভা মহন্তকে ৩ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় এবং ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দেশীয় আনারকলিতে ‘মিস ইউনিভার্স’ মঞ্চের শোভা বাড়ালেন ভারতীয় প্রতিযোগী মণিকা বিশ্বকর্মা

দেশ জুড়ে নাশকতা চালানোর আগেই মোদির রাজ্যে পাকড়াও ৩ আইএস সন্ত্রাসী

মদের নেশায় চুর‌ হয়ে নিজের ৬ বছরের কন্যাকে ধর্ষণ নরপিশাচ বাবার

ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আন্দামান, কম্পনমাত্রা ৫.৪

জালিয়াতি মামলায় পলাতক মেহুল চোকসির সম্পত্তি নিলামের অনুমোদন আদালতের, মূল্য জানেন?

‘হক’-এর অভিনব প্রচার, ভক্তদের চমকে দিয়ে মুখ ঢেকে লোকাল ট্রেনে সফর ইমরান-ইয়ামির

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ