নিজস্ব প্রতিনিধি: আর মাত্র হাতে গুনে ১৩ দিন বাকি পুজোর। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। আর পুজো মানেই রকমারি নতুন পোশাক। নানারকম ডিজাইনার পোশাক। আর উত্সব মানে সাজগোজ তো আছেই। কিন্তু সাজগোজের কথা উঠলে প্রথমেই শুধু মহিলাদের কথা ওঠে। কারণ মার্কেটে মহিলাদের সাজ পোশাকই বেশি। কিন্তু তা বলে কি হয়, পুরুষদের সাজগোজের বিষয়টাও তো মাথায় রাখতে হবে তাইনা! আর যেকোনো উৎসবে বাঙালি পুরুষদের পোশাক মানেই ধুতি-পাঞ্জাবির কথাই মাথায় ঘোরে। এমনকি দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন অধিকাংশ মহিলাই চায় সে শাড়ি পরে অঞ্জলি দেবেন, এবং তাঁর কাছের মানুষটি ধুতি-পাঞ্জাবিতে আসবেন। পুরুষদেরও একটি প্রচলিত ঐতিহ্য ধুতি ও পঞ্জাবি। তবে শুধু পুজো নয়, বিয়ের অনুষ্ঠানে হোক বা সরস্বতী পুজোর অঞ্জলিতেও বাঙালি দের ধুতি-পাঞ্জাবি হল প্রথম ও শেষ আউটফিট। বিদেশেই হোক কিংবা দেশের যে কোনও প্রান্তে বাঙালিদের ধুতি-পাঞ্জাবি মানে আলাদা একটা ইমোশন। তবে এখন আধুনিক ফ্যাশন দুনিয়ায় ধুতি ও পঞ্জাবিকে নিয়ে নানারকম পরীক্ষা চালিয়ে সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের বাঙালি আউটফিট তৈরি করছেন ডিজাইনররা। দুর্গাপুজোয় ধুতি পরার কিছু স্টাইলিং টিপস জেনে নিন…
১. আপনার আকার অনুযায়ী ধুতি-পাঞ্জাবি কিনুন। তবে অতিরিক্ত ভলিউম সঠিক ফিট হতে দেয় না।
২. সাদা বা কালো রঙের ধুতি প্যান্টের অকচি ক্লাসিক জোড়া কিনতে পারেন। প্রিয় মানুষটির পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে পাঞ্জাবী পরতে পারেন।
৩. যাঁরা উচ্চতায় লম্বা, তাঁরা ধুতি প্যান্ট পরতে পারেন। প্রথমে গেঞ্জি পরুন, তারপর পাঞ্জাবি পরার চেষ্টা করুন।
৪. এছাড়া ধুতি ও কুর্তা হল এভারগ্রিন ফ্যাশন। তবে এই নিয়ে যদি একঘেঁয়েমি চলে আসে তাহলে ধুতির সঙ্গে টাক্সেডো পরে চমকে দিতে পারেন।
৫. সবেশেষ পরার সময় দেখে নেবেন, ধুতির হেম যেন পায়ের কয়েক ইঞ্চি উপরে থাকে। নয়তো নিজের ধুতিতে আটকে হোঁচট খেতে পারেন।