এই মুহূর্তে




ভোগে চ্যাং মাছ ! কেন রায়চৌধুরী বাড়িতে পুজোর ১৫ দিন থাকতেই শুরু হয় মায়ের আরাধনা ?




নিজস্ব প্রতিনিধি : উমার বাপের বাড়ি আসতে আর বেশি দেরি নেই। হাতে গোনা কয়েকটা দিন। আর ১ পক্ষকাল পেরোলেই মায়ের আরাধনা। প্রত্যেক বছর উমা ছেলেমেয়দের নিয়ে বাপের বাড়ি বেড়াতে আসেন। কৈলাস থেকে সোজা মর্ত্যে আসেন ভক্তদের ডাকে সাড়া দিতে। তেমনই কিছু প্রাচীন পুজো রয়েছে যা বছরের পর বছর ধরে আজও চলে আসছে। বর্তমানে সামান্য জৌলুস কমে গেলেও আগের মতই ধারা বজায় রেখে চলে আসছে। বাংলার দুর্গাপুজো শুরু হতে বাকি আরও এক পক্ষকাল। তবে দুর্গাপুরের ফরিদপুর ব্লকের সরপি গ্রামে বোধনের মাধ্যমে শুরু হয়ে যায় দেবী দুর্গার আরাধনা। এখন প্রশ্ন পুজোর ১৫ দিন আগে থাকতেই কেন দশভুজার আরাধনা করা হয় ? এই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে রায়চৌধুরী পরিবার। 

দুর্গাপুরের ফরিদপুর ব্লকের সরপি গ্রামে আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগে দুর্গাপুজোর এক পক্ষকাল আগেই রাজা অর্জুন রায়চৌধুরীর হাত ধরে শুরু হয়েছিল রায়চৌধুরী পরিবারের দুর্গাপুজো। সেই রীতি মেনে আজও শুক্লপক্ষের কৃষ্ণ নবমী তিথিতেই হয় দেবীর বোধন । তাই পুজোর ১৫ দিন আগে থেকেই এলাকায় শুরু হয়ে যায় দুর্গাপুজোর আমেজ। বহু মানুষ আজও ছুটে আসে মাকে দেখতে।

পুজোয় মাকে নিবেদন করা হয় অন্ন ভোগ,বোধনের দিন হয় পাঁঠাবলিও। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতেও হয় পাঁঠা বলি।সন্ধ্যায় হয় আরতি। ঘট পুজোর সঙ্গে চলে চণ্ডীপাঠ, দশমীর দিন পর্যন্ত জ্বলে প্রদীপ।দশমীর দিন মায়ের ভোগে থাকে চ্যাং মাছ। এতকাল থেকেই চলে আসছে এই নিয়ম। এতেই নাকি মা খুশি হন বলে বিশ্বাস পরিবারের লোকজনদের। আগে অষ্টমীর দিন এই দুর্গোৎসবে মহিষ বলি দেওয়া হত । কিন্তু করোনার সময় থেকে সেই প্রথা বন্ধ করে দেওয়া হয় । তবে আজও দেবীর বোধনের দিন থেকেই এই মন্দিরে প্রতিদিন অন্নভোগ দেওয়া হয় ।

বর্তমানে রাজা না থাকলেও সেই রীতি আজও রয়ে গিয়েছে। বোধনের দিনে পরিবারের সকলেই একত্রিত হন। সকাল থেকেই নতুন জামা কাপড় পরে গ্রামের বাইরের পুকুর থেকে নিয়ে আসা হয় ঘটে করে জল। তারপর সেই ঘট মন্দিরে রেখে শুরু হয় পুজো। দশমীর দিন পর্যন্ত উৎসবের মেজাজ মেতে থাকে গ্রামবাসীরা।

তবে দুর্গার প্রাচীন প্রতিমা সেটা ছিল পাথরের।শোনা যায়, রাজা অর্জুন রায়চৌধুরী প্রথমে পাথরের তৈরি দুর্গা পুজোর প্রচলন করেন।পরে দুই স্ত্রী-সন্তানদের মধ্যে ১০ আনা ও ৬ আনা ভাগে জমিদারি ভাগ করে দেন। পাশাপাশি একই জায়গায় দু’টি পুজো এখনও চলছে।

এই নিয়ে রায়চৌধুরী পরিবারের একজন সদস্য অষ্টাদশী গৌরী রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘১৫ দিন আগে থেকেই দুর্গোৎসব শুরু হয়ে যাওয়ার যে কী আনন্দ তা বলা যাবে না। আমাদের প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই অতিথি আসা শুরু হয়ে যায়। সমস্ত বয়সের মানুষেরা পুজোর এই কটা দিন আনন্দে মেতে ওঠেন।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যে দুর্গাপুজোয় মদ বিক্রিতে আবগারি দফতরের আয় বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ

Lakshmi Puja : এই মন্ত্র পাঠ করলে ভক্তের ওপর সদা সর্বদা প্রসন্ন থাকবেন মা লক্ষ্মী

জানেন কী কার অভিশাপে দেবী লক্ষ্মীকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল সমুদ্রগর্ভে?

নাচতে নাচতে মৃত্যু, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে করুণ পরিণতি যুবকের

বাবার খুনি ধরতে পুলিশে চাকরি মেয়ের, ২৫ বছর বাদে পাকড়াও করলেন কিলারকে

মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ, উৎসবের মরসুমে আকাশ ছুঁল সোনার দাম

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর