এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১১টি কেন্দ্রে শুরু হবে গণনা

নিজস্ব প্রতিনিধি: বহু প্রতীক্ষিত কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে রবিবারে। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রয়েছে সেই নির্বাচনের ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণার প্রক্রিয়া। আগামিকাল সকাল ৮টা থেকে সেই গণনা শুরু হবে শহরের ১১টি গণনা কেন্দ্রে। এবারে নির্বাচন ঘোষণার পরে পরেই জানানো হয়েছিল শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডের ভোটগণনা করা হবে বরো ভিত্তিক। সেই মতো শহরের ১১টি ভোট গণনাকেন্দ্রে এখন গণনার প্রস্তুতি সেরে ফেলে হয়েছে। প্রতিটি গণনাকেন্দ্র থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে। সেই সঙ্গে থাকছে সিসিটিভির নজরদারিও। সকাল ৭টার মধ্যেই প্রার্থী সহ গণনায় যুক্ত কর্মীদের গণনাকেন্দ্রে চলে আসার বার্তা দিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সামগ্রিক ভাবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ৩ হাজার পুলিশকর্মী। 

কলকাতা পুরনিগমের ১ থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে ১ নম্বর বোরোর অধীনে। আবার ১০ থেকে ১২ এবং ১৫ থেকে ২০ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে ২ নম্বর বোরোর মধ্যে। এই দুই বোরোর মোট ১৮টি ওয়ার্ডের গণনা হবে বিটি রোডের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। শহরের ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং ২৯ থেকে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে ৩ নম্বর বোরোর অধীনে। আবার ২১ থেকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং ৩৮ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে ৪ নম্বর বোরোর অধীনে। ৩৬ ও ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং ৪০ থেকে ৪৫ ও ৪৮ থেকে ৫০ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে ৫ নম্বর বোরোর অধীনে। ৬ নম্বর বোরোর অধীনে রয়েছে ৪৬, ৪৭ এবং ৫১ থেকে ৫৫ ও ৬০ থেকে ৬২ নম্বর ওয়ার্ড। এই ৪টি বোরোর মোট ৪০টি ওয়ার্ডের ভোট গণনা হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। ৭ নম্বর বোরোর অধীনে রয়েছে ৫৬ থেকে ৫৯ এবং ৬৩ থেকে ৬৭ নম্বর ওয়ার্ড। এই বোরোর গণনা হবে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। এখানে ১২ নম্বর বোরোর অধীনে থাকা ১০১ ও ১০২ এবং ১০৫ থেকে ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডগুলিরও গণনা হবে এই কেন্দ্রে। সব মিলিয়ে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে হবে মোট ১৬টি ওয়ার্ডের গণনা।

৮ নম্বর বোরোতে রয়েছে ৬৮ থেকে ৭০, ৭২, এবং ৮৩ থেকে ৮৮ ও ৯০ নম্বর ওয়ার্ড। এই ১০টি ওয়ার্ডের ভোট গণনা হবে বালিগঞ্জ ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজে। ৯ নম্বর বোরোতে রয়েছে ৭১, ৮২ এবং ৭৩ থেকে ৮০ নম্বর ওয়ার্ড। এই ১০টি ওয়ার্ডের ভোটগণনা হবে হেস্টিংস হাউসের ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন ফর ওম্যান – প্রতিষ্ঠানটিতে। ১০ নম্বর বোরোতে রয়েছে ৮১, ৮৯ এবং ৯১ থেকে ১০০ নম্বর ওয়ার্ড। এই ১২টি ওয়ার্ডের গণনা হবে যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলে। যোধপুর পার্ক গার্লস স্কুলে হবে ১১ নম্বর বোরোর অধীনে থাকা ওয়ার্ডগুলির গণনা। সেই হিসাবে সেখানে ১০৩ ও ১০৪ এবং ১১০ থেকে ১১৪ এই ৭টি ওয়ার্ডের গণনা। ১৩ নম্বর বোরোতে রয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ এবং ১২২ এই ৭টি ওয়ার্ড। এদের গণনা হবে বড়িশা হাই স্কুলে। ১৪ নম্বর বোরোতে রয়েছে ১২১ ও ১২৭ থেকে ১৩২ এই ৭টি ওয়ার্ড। এদের গণনা হবে ঠাকুরপুকুর বিবেকানন্দ কলেজে। ১৩৩ থেকে ১৪১ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে ১৫ নম্বর বোরোতে। এই ৯টি ওয়ার্ডের গণনা হবে হেস্টিংস হাউসের সিস্টার নিবেদিতা গভর্মেন্ট ডিগ্রী কলেজে। ১৬ নম্বর বোরোতে রয়েছে ১২৩ থেকে ১২৬ ও ১৪২ থেকে ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড। এই ৭টি ওয়ার্ডের গণনা হবে জোকার ব্রতচারী বৃদ্ধাশ্রমে।

এবারে পুর ভোটে কিন্তু শাসক শিবিরে ছিল একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী। এদের মধ্যে যেমন আছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ তথা প্রাক্তন পুরচেয়ারম্যান মালা রায়, প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা বিধায়ক অতীন ঘোষ, বিধায়ক তথা প্রাক্তন পুরপারিষদ দেবাশিষ কুমার, বিধায়ক তথা প্রাক্তন পুরপারিষদ দেবব্রত মজুমদার, প্রাক্তন পুরপারিষদ তারক সিং, প্রাক্তন পুরপারিষদ বৈশ্বানর চ্যাটার্জী, ৮ নম্বর বোরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান সন্দীপরঞ্জন বক্সি, ৯ নম্বর বোরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন মালাকার, ১২ নম্বর বোরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুশান্ত কুমার ঘোষ, ১৩ নম্বর বোরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ প্রমুখরা। এছাড়াও নজরকাড়া প্রার্থী হিসাবে রয়েছে সাংসদ শান্তনু সেনের স্ত্রী কাকলি সেন, অভিনেত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়িকা রত্না চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের প্রয়াত বাম নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে বসুন্ধরা গোস্বামী, রাজ্যের অপর প্রয়াত নেতা তথা মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সুযোগ্যা শিষ্যা সুদর্শনা মুখার্জী প্রমুখরা, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভ্রাতৃবধূ জুঁই বিশ্বাস, রাজ্যের অপর এক মন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে পূজা পাঁজা, রাজ্যের আরেক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ বসু প্রমুখ। এদের ভোট ভাগ্য কী হয় সেদিকেই তাকিয়ে থাকবেন আমজনতা।

বিরোধী শিবিরের যে সব প্রার্থীর দিকে এবারে নজর থাকবে তাঁরা হলেন, বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিত, কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ উপাধ্যায় ও সন্তোষ পাঠক, বাম প্রার্থী চয়ন ভট্টাচার্য, নির্দল প্রার্থী তথা কলকাতা পুরনিগমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায় এবং প্রয়াত কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী গৌরব বিশ্বাস। এদের মধ্যে কেউ কোনও চমক দেখাতে পারেন কিনা সেদিকেও তাকিয়ে থাকবে আমজনতা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

খড়গপুর চাইছে হিরণকে! তৃণমূলের নজরে দলীয় কাউন্সিলরই

কাঁথির পুরপ্রধান রীনা, উপপুরপ্রধান অখিলপুত্র সুপ্রকাশ গিরি

ওয়াকআউট করুক নির্দলরা! ত্রিশঙ্কু পুরসভায় রণনীতি তৃণমূলের

বামেদের উত্থান আসলে তৃণমূলের কারসাজি! দাবি দিলীপের

জঙ্গলমহলেও ধাক্কা পদ্মের! প্রশ্নের মুখে দিলীপ-সৌমিত্র

আনিস কাণ্ডের কোনও প্রভাবই পড়ল না পুরনির্বাচনে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর