নিজস্ব প্রতিনিধি: একটা সময় একাধিকবার জার্সি বদলের ঘটনা ঘটাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে, তারপরে এনসিপি ঘুরে ফের কংগ্রেস এবং আরও একবার তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু বার বার তাঁর এই জার্সি বদলের ঘটনা কোনও প্রভাবই ফেলেনি আমজনতার মননে। বিশেষ করে কলকাতা পুরনিগমের ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। কেননা এই ওয়ার্ড থেকেই সেই ১৯৯৫ সাল থেকে একটানা জিতে আসছেন তিনি। শুধু জিতে আসাই নয়, বার বার দলবদলের পরেও তাঁর কেরিয়ারগ্রাফ রীতিমত চোখে পড়ার মতো। তিনিই কলকাতা পুরনিগমের প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন। একইসঙ্গে এখন তিনি দক্ষিণ কলকাতার সাংসদও। মালা রায়। এবার তিনিও অবতীর্ণ পুরযুদ্ধে। তৃণমূলের প্রার্থী হয়েই তিনি অবতীর্ণ হয়েছেন কলকাতা পুরনিগমের ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ড থেকেই ১৯৯৫ সাল থেকে একটানা জিতে আসছেন মালা রায়। এবারেও তিনি এই ওয়ার্ড থেকে জয়ী হলে টানা ৬ বার জেতার রেকর্ড গড়বেন তিনি।
টানা পাঁচবার জিতেছেন বা এলাকার সাংসদ হয়ে গিয়েছেন বলে কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ভুগছেন না মালা রায়। বরঞ্চ ভরসা রাখছেন প্রচারের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিবিড় জনসংযোগে। জোর দিচ্ছেন রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুরনিগমের উন্নয়নমূলক কাজে। এলাকায় মধ্যবিত্তের পাশাপাশি নিম্নবিত্ত মানুষের উপস্থিতি রয়েছে। তাই তাঁদের দিকে বেশি করে নজর দিতে হচ্ছে তাঁকে। পানীয় জল, নিকাশি, রাস্তাঘাট, সরকারি প্রকল্পে আমজনতার অংশিদারী সব দিকেই নজর রাখতে হচ্ছে তাঁকে। আর এইসব কাজ করতে গিয়েই নিজেই হয়ে উঠেছেন এলাকার অভিভাবিকা। একদিন যে এলাকা অন্ধকারে ডুবে থাকতো, দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে আমজনতাকে ভয়ে গুটিয়ে থাকতে হত, সেই সব দিনের অবসান ঘটিয়ে এখন দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম নজরকাড়া ওয়ার্ডে তিনি পরিণত করেছেন মুদিয়ালি এলাকার ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডকে। সাংসদ হয়েও নিজেকে গুটিয়ে নেননি কাউন্সিলরের মতো মাটির কাছে থাকা জনপ্রতিনিধিত্বকে। জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে পা রেখেও তাই আজও মাটিতে হেঁটেই অভ্যস্ত সাংসদ মালা রায়। বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে ভোট চাইতে তাই তাঁর অসুবিধা হয় না, বরঞ্চ খোঁজখবর পেয়ে যান কোন বাড়িতে কে কেমন আছেন।