নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত সময় এসে হাজির হয়ে গিয়েছে। কলকাতার ছোট লালবাড়ি কাদের দখলে যেতে বসেছে আগামী ৫ বছরের জন্য সেটাই জানা যাবে এদিন। কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনের ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণার কাজ এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। শহরের ১১টি গণনাকেন্দ্রে বোরো ভিত্তিক ওয়ার্ডগুলির গণনা এদিন ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে শুরু হয়েছে। যারা ভোটকর্মী ছিলেন তাঁদেরকেই গণনার ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থীরা, তাঁদের এজেন্টরা এবং গণনার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের এদিন সকাল ৭টার মধ্যেই গণনাকেন্দ্রে চলে আসার কথা বলেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মতো এদিন সকালেই প্রার্থীরা, তাঁদের এজেন্টরা ও ভোটকর্মীরা চলে আসার পরেই স্ট্রংরুম থেকে ইভিএম মেশিন বের করে টেবিলে টেবিলে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যায়। তবে সব কটি বোরোতেই পোস্টাল ব্যালট আগে গণনা করা হচ্ছে।
এবারে নির্বাচন ঘোষণার পরে পরেই জানানো হয়েছিল শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডের ভোটগণনা করা হবে বরো ভিত্তিক। সেই মতো শহরের ১১টি ভোট গণনাকেন্দ্রে এদিন গণনার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি গণনাকেন্দ্র রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। থাকছে সিসিটিভি ও ড্রোনের নজরদারিও। নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয়েছে ৩ হাজার পুলিশ। থাকছে কুইক রেসপন্স টিম, ফ্লাইয়িং স্ক্যোয়াড ও রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সও। কলকাতা শহরের বুকে যে ১১টি গণনা কেন্দ্রে ভোট গণনা করা হচ্ছে তার ২০০ মিটারের মধ্যে কোনওরকমের জমায়েত করা যাবে না বলে কমিশন গতকালই জানিয়ে দিয়েছিল। কার্যত গণনাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রতিটি গণনাকেন্দ্রের দায়িত্বে একজন করে এএমআরও পদমর্যাদার আধিকারিক রাখা হয়েছে।
এদিন কলকাতার যে ১১টি কেন্দ্রে গণনা চলছে সেগুলি হল বিটি রোডের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, বালিগঞ্জ ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজ, হেস্টিংস হাউসের ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন ফর ওম্যান, যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুল, যোধপুর পার্ক গার্লস স্কুল, বড়িশা হাইস্কুল, ঠাকুরপুকুর বিবেকানন্দ কলেজ, হেস্টিংস হাউসের সিস্টার নিবেদিতা গভর্মেন্ট ডিগ্রী কলেজ ও জোকার ব্রতচারী বৃদ্ধাশ্রম। প্রতিটি জায়গাতেই এদিন যথাযথ স্যানিটাইজেশন ও কোভিডবিধি লাগুর মধ্যে দিয়েই গণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কোনও ভোটকর্মী বা প্রার্থী কিংবা তাঁদের এজেন্ট কাউকেই মোবাইল বা কোনওরকমের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।