নিজস্ব প্রতিনিধি: লাল সিং চাড্ডার ব্যর্থতার পর অভিনয় থেকে একপ্রকার বিরতি নিয়েছিলেন সুপারস্টার আমির খান। জানিয়েছিলেন পরিবারকে সময় দেবেন এবার তিনি। তবে মনব্রত ভেঙে মাস কয়েক আগেই জানা গিয়েছে অভিনয়ে ফিরেছেন আমির। তাঁর আগামী ছবি ২০২৪ সালের ক্রিসমাসে মুক্তি পাবে। তবে ছবির নামটা এতদিন আড়ালেই ছিল। আজ জানা গেল, মিঃ পারফেক্টশনিস্টের আগামী ছবির নাম। তাঁর ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র ‘তারে জমিন পার’-এর নামকরণেই তাঁর আগামী ছবির নাম গাঁথা হয়েছে। ‘সিতারে জমিন পার’। অভিনেতা সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর পরবর্তী প্রকল্পের বিষয়ে বিশদ ভাগ করে নিয়েছেন।
২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত, দর্শিল সাফারি এবং আমির খান অভিনীত ‘তারে জমিন পার’ একটি ব্লকবাস্টার হিট। এই ছবিটির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন আমির, ৮ বছর বয়সী ডিসলেক্সিক শিশু ইশানের জীবন এবং কল্পনাকে ঘিরে ছবিটি নির্মিত হয়েছিল। অমল গুপ্তে রচিত এই চলচ্চিত্রটি একটি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিল। আমির খান এখন ঘোষণা করেছেন তাঁর আসন্ন ছবির নাম ‘সিতারে জমিন পার’। ছবিটির থিম ‘তারে জমিন পার’-এর মতো। News18-এর সঙ্গে সাক্ষাত্কারে, আমির বলেছিলেন, “আমি প্রকাশ্যে এটি সম্পর্কে বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে শিরোনাম বলতে পারি। ছবির নাম ‘সিতারে জমিন পার’। আপনি নিশ্চয়ই আমার ‘তারে জমিন পার’ ছবিটি মনে রেখেছেন এবং এই ছবির নাম ‘সিতারে জমিন পার’ কারণ আমরা একই থিম ছবিটি এগিয়ে যাচ্ছি। তাই আমরা খুব ভেবেচিন্তে এই নামটি রেখেছি। কিন্তু এবার, সেই ছবিতে বিশেষ শিশু ঈশানের চরিত্র – ‘তারে জমিন পার’-এ আমার চরিত্রটি সেই চরিত্রটিকে সাহায্য করবে। ‘সিতারে জমিন পার’-এ সেই নয়টি ছেলে, যাদের নিজস্ব সমস্যা আছে, তারা আমাকে সাহায্য করে।” তারে জমিন পার বক্সঅফিসে 1.35 বিলিয়ন রুপি আয় করেছিল।
এদিকে বুধবার আমির তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী রীনা দত্তের কন্যা, ইরা খানের বিয়ের তারিখ ঘোষণা করলেন। যিনি তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমিক নূপুর শিখরের সঙ্গে ২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর, বাগদান সেরেছিলেন৷ তারা শুধুমাত্র তাদের নিজ নিজ পরিবারের উপস্থিতিতে তাদের বাগদান সম্পন্ন করেন৷ আমির এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর মেয়ের বিয়ের তারিখ ঘোষণা করেছেন, ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি ইরার বিয়ে। হবু জামাই সম্পর্কে আমির খান বলেন, “এটি একটি ফিল্মি সংলাপ হতে পারে, তবে আমি নূপুরকে ছেলের মতো মনে করি। নূপুর খুব ভাল ছেলে, আমরা সত্যিই মনে করি সে পরিবারের অংশ এবং তার মা প্রীতম জি এমন একজন যিনি ইতিমধ্যেই আমাদের পরিবারের একটি অংশ। ইরার বিয়ে আবেগঘন মুহূর্ত হতে চলেছে, আমি আমার হাসি বা কান্না নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।”