নিজস্ব প্রতিনিধি: লতা মঙ্গেশকরের পরে ফের বড় ধাক্কা ভারতীয় সংস্কৃতি মহলে। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালেই নিজের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন সন্তুর বাদক কিংবদন্তি পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তাঁর মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতীয় সাংস্কৃতিক মহলে। বলা চলে, ভারতবাসীকে সন্তুর বাদ্যযন্ত্রটির সঙ্গে প্রথম আলাপ করিয়েছিলেন পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা। সঙ্গে নিজেও পেয়েছেন দেশের বিখ্যাত সন্তুরবাদকের আখ্যা।
কয়েক দশক ধরে তিনি ভারতীয়দের তাঁর সন্তুরের মূর্ছনায় মোহিত করেছিলেন। কিন্তু আর সুর উঠবে না তাঁর হাতের সন্তুরের স্পর্শে। যেন থমকে গেল সবকিছু। মাত্র ১৩ বছর থেকেই তিনি সন্তুরের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছিলেন। গতকাল তাঁর শেষকৃত্যে সামিল হয়েছিলেন ভারতীয় বিনোদন ক্ষেত্রের স্বনামধন্য তারকারাও। তাঁর শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চন, ওস্তাদজী-কে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও কিংবদন্তী সন্তুর বাদক শিবকুমার শর্মাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন, দেশের সঙ্গীত তারকারাও। ছিলেন, ইলা অরুণ এবং হরিহরনও।
সন্তুর কিংবদন্তীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে, বিগ বি তাঁর ব্লগে লিখেছেন, “শিবকুমার শর্মা প্রয়াত হয়েছেন, যিনি কাশ্মীরের উপত্যকা থেকে উঠে এসে সন্তুর নামক একটি বিশেষ যন্ত্রের সঙ্গে সবার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এরকম একজন অবিশ্বাস্য প্রতিভার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। একটা যুগের সমাপ্তি।’ মঙ্গলবার সকালে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি। তবে এই বয়সেও তিনি এতটা সক্রিয় ছিলেন যে, আগামী সপ্তাহেই তাঁর ভোপালের এক অনুষ্ঠানে যোগদান করার কথা ছিল। কিন্তু সব শেষ।
তবে তাঁর নিয়মিত ডায়ালাইসিস চলছিল। যদিও পণ্ডিত শিবকুমার শর্মার পুত্র রাহুলও একজন সন্তুর বাদক। পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা ১৯৩৮ সালে জম্মুতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১৯৮৬ সালে সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়া কিংবদন্তি সন্তুর তারকা ১৯৯১ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০০১ সালে পদ্মবিভূষণে ভূষিত হয়েছিলেন। তিনি ভারতীয় মাইলস্টোন সৃষ্টিকারী ছবিগুলি যেমন, ‘সিলসিলা’, ‘লামহে’, ‘চাঁদনি’ এবং ‘দার’ এই ছবিতে তাঁর সন্তুর বাজানোর ছোঁয়া রেখে গিয়েছেন।