নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রবিবার ৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন কিন্নরকন্ঠী লতা মঙ্গেশকার। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া গোটা দেশে। দিদি লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তোলা ছোটবেলার ছবি ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেছেন আশা ভোঁসলে। দিদির সঙ্গে ছবি শেয়ার করে আশা ভোঁসলে লিখেছেন- ”ছোটবেলার দিন, সেসব কী দিনছিল। দিদি আর আমি।” সঙ্গে হার্ট ইমোজি। আশাজির সেই পোস্টে কমেন্ট করেছেন বলিউডের বিশিষ্ট জনেরা। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এ আর রহমান, শ্রুতি হাসান, হৃতিক রোশন প্রমুখ। বোন আশা ভোঁসলে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দিদিকে। শনিবার সন্ধ্যায় দিদি লতা মঙ্গেশকরকে দেখতে হাসপাতাল গিয়েছিলেন আশাজি। দিদিকে দেখার পর সংবাদমাধ্যমকে আশাজি জানান ‘দিদি স্থিতিশীল আছেন’। কিন্তু অবস্থার অবনতির পর তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে গভীর শোকে মুহ্যমান গোটা দেশ।
৯২ বছর বয়সে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে প্রয়াত হন লতা মঙ্গেশকর। করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন হন তিনি। চিকিৎসায় সাড়া দিলেও হঠাৎ করে শনিবার ফের তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় তাঁকে ফের। কিন্তু জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন শিল্পী। রবিবার মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, অনুপম খের, মধুর ভান্ডারকর, শ্রদ্ধা কাপূর প্রমুখ।
সঙ্গীতের পরিবারে জন্ম লতা মঙ্গেশকরের। চার ভাইবনের মধ্যে তিনিই ছিলেন বড়। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর ছিলেন সুবিখ্যাত মারাঠি ধ্রুপদী গায়ক। বাবার কাছেই গানের হাতেখড়ি। লতার বাকি ভাইবোন আশা, মিনা, ঊষা ও ছোটভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর প্রত্যেকেই সঙ্গীত জগতের সুবিখ্যাত শিল্পী। ১৯৪২ সালে বাবার মৃত্যুর পর সংসারের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন লতা। ছোট ভাই বোনের কথা ভেবে কখনও বিয়েও করেননি। সংসার পেতেছিলেন নিজের এই মানুষগুলোকে নিয়ে। ১৯৪৮ সালে প্রথম প্লেব্যাক গান লতা ‘মজবুর’ ছবিতে। এরপর একের পর এক হিট গান উপহার দিয়েছেন তিনি সকলকে। গেয়েছেন ৩৬টির বেশি আঞ্চলিক ভাষার গান। পেয়েছেন ভারতরত্ন, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, দাদাসাহেব ফালকের মত পুরস্কার। এদিন তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া। মা সরস্বতীর বিসর্জনের দিনেই বাগদেবী তাঁর মানসকন্যাকে নিয়ে গেলেন তাঁর সঙ্গে।