নিজস্ব প্রতিনিধিঃ তিনি সুরে লেখেন। আর নোটেশনের লাইন টানা পাতাগুলো থেকে লাফ মেরে সেই সব সুর অক্ষর হয়ে, বাক্য হয়ে ছিটকে আসে। তাকে দু’মলাটের মধ্যে ধরে রাখা কি সহজ কথা! তার অঙ্গে অঙ্গে যে বাঁশি, তার তরঙ্গে যে পূরবী আর মোৎজার্ট একাকার। সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র। নীরবেই লিখে গিয়েছেন তাঁর স্মৃতিরেখাকে। সেই রেখা এ বাংলা- ও বাংলা মিলিয়ে এক বিশাল মন-ভূগোলের সীমানাহীন সীমানাকে নির্দেশ করে। প্রকাশিত হতে চলেছে তাঁর প্রথম বই ‘একদা জাহ্নবীতীরে…’ । এই বইতে এক দিকে যেমন স্থান পেয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতি, তেমনই অন্য দিকে উঠে এসেছে সঙ্গীতকে ঘিরে নানা কাহিনি ও বিশ্লেষণ। রয়েছেন বিরাট জায়গা জুড়ে এই বইতে সলিল চৌধুরী। হাত ধরেছেন ঋত্বিক ঘটক, বাবা জাহ্নবীরঞ্জনের পাশটিতে এসে দাঁড়িয়েছেন সত্যজিৎ রায়। কখনও উঁকি দিয়ে গিয়েছেন অনন্য রায়, তো কখনও ঝলকে ঝলকে ফুটে উঠেছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ।
আবার সামূহিক স্মৃতি থেকে কখন যেন রবীন্দ্রানাথের পাশটিতে বসে পড়েছেন চৈতন্যদেব। এই গ্রন্থ এক পুনর্যাত্রা। নিজের কাছে ফেরা। লেখকের সঙ্গে সঙ্গে পাঠকও সেই যাত্রার শরিক। শুধু লেখা নয়, এই বইতে উঠে এসেছেন তুলি-ইজেলের দেবজ্যোতিও। এক লগনছাড়া গদ্যতরঙ্গে নৌকা হয়ে ভেসে রয়েছে তাঁর আঁকা বেশ কিছু ছবি। গঙ্গার তরঙ্গে প্রাণপদ্ম ভাসানোর এই আয়োজন।
মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল আইসিসিআর-য়ে সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে প্রকাশিত হবে বইটি। বই প্রসঙ্গে দেবজ্যোতি মিশ্র জানিয়েছেন,” নিজের স্মৃতির কথা,স্মৃতি কথায় লিখে যাওয়া যা আমার জীবনে বাস্তব একটা অন্য রকম অনুভূতি। বাবার কথা, ছেলেবেলা,কলোনির ঘর থেকে মোৎজার্ট এর সঙ্গে পরিচিতি, রবীন্দ্রনাথ থেকে সলিল চৌধুরী।আমার সুরের পথ ধরে বেড়ে ওঠা এই বইতে লিপিবদ্ধ করলাম।সাথে আমার আঁকা বেশ কিছু ছবিও আছে।”বইটার প্রকাশক রাবণ।