এই মুহূর্তে




মৌলবাদীদের হামলার হুমকিতে এবার ঢাকায় বন্ধ হল নাট্যো‍ৎসব




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: শেখ হাসিনার জমানার অবসানের পরে মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের মদতে নখদাঁত বের করে আসরে নেমেছে মুসলিম মৌলবাদী ও জঙ্গিরা। ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে তালিবানি রাজত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। আর তাতেই বিপন্ন হয়ে পড়েছে সংস্কৃতি চর্চা। মুসলিম মৌলবাদীদের হুমকিতে উত্তরায় বসন্তো‍ৎসব বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। আর এবার শেষ মুহুর্তে স্থগিত রাখা হল ঢাকা মহানগর নাট্যো‍ৎসব। ফলে প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশ কী ক্রমশই পর্দানসীন হচ্ছে? সবচেয়ে বিস্ময়ের হলো, আয়োজকদের তরফে পুলিশের কাছে হুমকি পাওয়ার বিষয়টি জানানো হলেও জামায়াত ইসলামীর সদস্য তথা ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আলম সাংবাদিকদের নির্লিপ্ত কণ্ঠে বলেছেন ‘এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই।’

আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় ঢাকার মহিলা সমিতি অডিটোরিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল ঢাকা মহানগর নাট্যো‍ৎসবের। প্রথম দিনই পরিবেশিত হওয়ার কথা ছিল মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’।  উৎসবের তিনটি পর্যায়ে একটি করে নাটক মঞ্চস্থ করার কথা ছিল দেশের ৮৫টি নাট্যদলের। কিন্তু গতকাল শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তৌহিদি জনতা নামধারী মুসলিম মৌলবাদীরা মহিলা সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে নাট্যো‍ৎসব বন্ধ রাখার হুমকি দেন। হুমকি মিশ্রিত কণ্ঠে তারা বলেন ‘বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। তার পরেও কোন সাহসে আপনারা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক মঞ্চস্থ করেন? নাটক-ফাটক চলবে না। ওই সব হিন্দু আর ভারতীয় সংস্কৃতি। করুণ পরিণতি না চাইলে নাট্যো‍ৎসব বন্ধ রাখুন।’

মুসলিম মৌলবাদীদের ওই হুমকি নিয়ে রাতেই জরুরি বৈঠকে বসেন নাট্যো‍ৎসবের আয়োজকরা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, বিষাক্ত কেউটেদের ল্যাজে পা দিয়ে মৃত্যু ডেকে আনার কোনও দরকার নেই। নাট্যো‍ৎসব বন্ধ রাখা হবে। এদিন ঢাকা মহানগর নাট্য পর্ষদের আহ্বায়ক ঠান্ডু রায়হান নাট্যো‍ৎসব বন্ধের কথা জানিয়ে বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে, সকলের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ভালোবাসায় আয়োজন করা প্রাণের নাট্যোৎসব আপাতত স্থগিত ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছি।’

উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব কামাল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  আমাদের জানান যে, রমনা থানা থেকে ফোনে নাট্যোৎসব বন্ধ করতে বলা হয়েছে। আমরা উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে রমনা থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করি। সন্ধ্যায় আমরা ওসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করি এবং উৎসবের বিস্তারিত তথ্য তাকে অবহিত করি। থানায় আলোচনার পর পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিলে নিরাপত্তা সহযোগিতা চেয়ে একটি আবেদনপত্র জমা দিই। কিন্তু ওই বৈঠকের খবর পেয়ে ‘উত্তেজিত কিছু লোক’ এসে মহিলা সমিতির কার্যালয়ে এসে হুমকি দেয় এবং উৎসবের সাজসজ্জা খুলে ফেলার নির্দেশ দেয়। ওই হুমকির পরে মহিলা সমিতির আধিকারিকরা কোনও ঝুঁকি না নিয়ে নাট্যো‍ৎসব আয়োজন বন্ধ রাখার কথা বলেন।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নেই, জানিয়ে দিলেন ইউনূস

‘রক্ত-ঘাম ঝরিয়েও তাঁদের চোখে আমি অকর্মা…’, বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন অমল মালিক

চহল-ধনশ্রীর বিবাহ বিচ্ছেদে সিলমোহর আদালতের

TRP-র সেরা পাঁচে জায়গা হল না গীতা, ফুলকিদের, সেরা আসন দখল করল ‘পরশুরাম’

বাংলাদেশে কাঁকড়ার ব্যবসা করবেন ট্রাম্প,লাইসেন্স মঞ্জুর করল ইউনূস সরকার

বঙ্গবন্ধুর কবরে শ্রদ্ধা জানানোর অপরাধে অপসারিত বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর