নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। সোম সকাল ১১.১৭ মিনিতে প্রয়াত হন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। শুক্রবার কিছুটা সুস্থ হয়ে কাগজে লিখে বলেছিলেন সিনেমা কিন্তু হবেই”। কিন্তু না, শেষরক্ষা হল না। চলচ্চিত্রময় জীবনের ইতি ঘটল এদিন। আর ফেরা হল না ভেন্টিলেশন থেকে। আর বলা হয়ে উঠল না লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন। রবিবার থেকেই ফের তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয় তাঁর। সোম সকাল থেকে অবস্থা আরও জটিল হয় তাঁর। এদিন সকালেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতির পর হাসপাতালের তরফে ডেকে পাঠানো হয়ে তাঁর বাড়ির লোককে। সকাল সাতটা থেকেই এদিন এসএসকেএমে বসে জরুরি মেডিক্যাল বোর্ড। আরও জটিল হয়েছিল কিডনির সমস্যা।
১৯৩১ সালে অবিভক্ত ভারত অধুনা বাংলাদেশের বগুড়ায় জন্ম হয় তাঁর। শিক্ষাজীবন কেটেছে কলকাতাতেই। সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ ও স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র ছিলেন তরুণ মজুমদার। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়ায়নের প্রাক্তনী ছিলেন তিনি। তাঁর বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। ফিল্মি জগতে পরিচালনার মাধ্যমে মাত্র ২৮ বছর বয়সে হাতেখড়ি তার, সালটা ১৯৫৯। ওই বছরেই যৌথভাবে সিনেমার কাজ শুরু। ‘চাওয়া পাওয়া’ ছবিটি পরিচালনা করেন তিনি। উত্তমকুমার সুচিত্রা সেন অভিনয় করেন সেই ছবিতে। যাত্রিক গোষ্ঠীর পরিচালনায় হয়েছিল এই ছবি। যার সদস্য ছিলেন শচীন মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায় ও তরুণ মজুমদার।
১৯৬২ সালে ‘কাচের স্বর্গ’ ছবির জন্য প্রথম জাতীয় পুরষ্কার পান তিনি। ১৯৯০ সালে ভূষিত হন পদ্মশ্রী সম্মানে। পেয়েছিলেন চারটি জাতীয় পুরষ্কার। এছাড়াও বিএফজেএ ও আনন্দলোক পুরষ্কার পেয়েছিলেন। ১৯৬৫ সালে এককভাবে পরিচালনার কাজ করেন। তাঁর পরিচালিত একের পর এক ছবি বাংলা ছবির দর্শককে এক আলাদাই বিনোদন দিয়েছিল। তাঁর পরিচালনায় পলাতক’, ‘ গণদেবতা’, ‘বালিকা বধূ’, দাদার কীর্তি, ‘ভালবাসা ভালোবাসা’ এর মত ছবি।