নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তম কুমার, বাঙালির সর্বকালের মহানায়ক। বাঙালির মনে-প্রাণে এখনও জুড়ে রয়েছেন তিনি। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির উন্নতির অন্যতম শিখর ছিলেন তিনি। তাঁর একেকটি ছবির হাত ধরে আজও নস্টালজিক করে তোলে ভক্তদের। আজ মহানায়কের ৯৮ বছর জন্মবার্ষিকী। জীবনে ৩৫ টি অভিনেত্রীর সঙ্গে তিনি জুটি বাঁধলেও মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের সঙ্গেই তাঁর জুটি আজও হিট। যাই হোক, মহানায়কের জন্মদিন উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নানা রকম পোস্ট। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় AI-এর দ্বারা সৃষ্ট উত্তমকুমারের ছবি নিয়ে তোলপাড়। তাঁর এই ছবিগুলি সমস্ত তারকাদের যেন নিমেষেই ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। যাই হোক, আজকে জানাবো মহানায়কের সম্বন্ধে একটি অজানা তথ্য। ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার ভবানীপুরের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু জানেন কী, অভিনেতা বরাবরই নিজের জন্মদিন পালন করতেন জন্মদিনের ২৪ দিন পর।
একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেধ উত্তম কুমারের ভাইঝি, তরুণ কুমারের কন্যা মনামী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘উত্তম কুমারকে আমি ‘জ্যাজান’ বলে সম্বোধন করতাম। ৩ সেপ্টেম্বর জ্যাজানের জন্মদিন। কিন্তু আমাদের বাড়িতে তা পালন হতো ২৭ সেপ্টেম্বর। তার কারণ সেপ্টেম্বর মাসে তিনজনের জন্মদিন। ৩ সেপ্টেম্বর জ্যাজান, ৭ সেপ্টেম্বর আমার দাদা মানে গৌতমের (উত্তম পুত্র) জন্মদিন, আর ২৭ সেপ্টেম্বর জেঠিমা অর্থাৎ গৌরীদেবীর জন্মদিন। ফলে ২৭ সেপ্টেম্বর জেঠিমার জন্মদিনেই বাড়িতে একসঙ্গে তিনজনের জন্মদিন পালন হতো। ৩ সেপ্টেম্বর আমাদের বাড়িতে কিছু হতো না।’ কিন্তু পারিবারিক ভাবে তিনি ২৪ দিন পর তাঁর জন্মদিন পালন করলেও ৩ সেপ্টেম্বর বাধ্য হয়ে দিনটি পালন করতেই হতো নায়কের।
তিন দশকের দীর্ঘ কেরিয়ারে উত্তম কুমার অভিনয় করেছেন প্রায় ২০০ টির বেশি চলচ্চিত্রে। কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন তিনি। উত্তম কুমারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন সুচিত্রা সেন। আজও এই জুটির রসায়নে বুঁদ বাঙালি। ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবির মাধ্যমে তাঁদের পথ চলা শুরু। সুচিত্রার কাছে উত্তমকুমার ছিলেন, গ্রেট আর্টিস্ট। উত্তমকুমারের কালজয়ী সিনেমাগুলো হলো ‘হারানো সুর’, ‘পথে হল দেরি’, ‘সপ্তপদী’, ‘চাওয়া পাওয়া’, ‘বিপাশা’, ‘জীবন তৃষ্ণা’ ও ‘সাগরিকা’।ব্যক্তিজীবনে উত্তম কুমার ঘর বেঁধেছিলেন গৌরী দেবীর সঙ্গে।