নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশের কিং খান শাকিব খান। তিনি পেশাগত জীবনের চেয়েও ব্যক্তিগত জীবনে বেশি বিখ্যাত। কারণ সর্বদা তাঁর প্রাক্তন নিয়ে অনবরত চলছে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি। একদিকে অপু বিশ্বাস অন্যদিকে শবনম বুবলী। তাঁর দুই স্ত্রী এখন প্রাক্তন। গতবছর অভিনেত্রী বুবলী আচমকাই সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে ঘোষণা করেন যে তিনি শাকিবের স্ত্রী এবং তাঁদের একটি সন্তান আছে। এই কথা শুনে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া হতবাক হলেও পরে শাকিব নিজেই খবরটি সত্যিই বলে নিশ্চিত করেন। এর মাস কয়েক বাদেই শাকিব নিজেই দাবি করেন বুবলীর সঙ্গে তাঁর আর কোনও সম্পর্ক নেই। এদিকে মাস কয়েক আগে শাকিবের প্রথম স্ত্রী অপুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক জোড়া লাগছে, সেই গুজবও বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। যাই হোক, এত গুঞ্জনের মধ্যে শাকিবের প্রাক্তন দুই স্ত্রী নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা শুরু করেছেন।
তবে এতে শাকিবের কোনও অবদান নেই।
তিনি ব্যক্তিগত জীবনের ঝুটঝামেলা কাটিয়ে একের পর এক ছবির শুটিং করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের প্রথম প্যান ইন্ডিয়ান ছবি ‘দরদ’র শুটিংয়ে তিনি বেনারসে রয়েছেন। ওদিকে শাকিবের দুই প্রাক্তন অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী এখনও অতীত নিয়ে নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়িতে লিপ্ত! এবার তাঁদের ঝগড়া থামাতে মাঝে ঢুকে পড়লেন প্রযোজক অভিনেতা ডিপজল। যিনি প্রায়শই অন্যায় দেখলেই ফেসবুকে হুংকার দেন। এবার তিনি শাকিব খান, অপু বিশ্বাসের মধ্যে চলা ঝগড়াকে ‘নোংরা নাটক’ বলে উল্লেখ করলেন।
তিনি অপু-বুবলীর উদ্দেশ্যে বলেন, “তাদের উচিত এসব নোংরা নাটক বন্ধ করা। এতে করে ফিল্মের মান সম্মান নষ্ট হচ্ছে। মুসলমান হিসেবে শাকিব দুটো বিয়ে কেন, চারটে বিয়ে করতে পারে। তার সেই সামর্থ আছে। আমাদের ধর্মে এটা বৈধ। কিন্তু এটা নিয়ে এত কথা এত নাটক কেন উঠছে?” সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলে বুবলীর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অপু বিশ্বাস জানিয়ে ছিলেন, তিনি বুবলীকে ঘৃণা করেন। এও বুবলী ক্ষুধা হয়ে অপুকে বলেন, ‘কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়, তাই বলে কি কুকুর কামড়ানো মানুষের শোভা পায়?’ এমন একটি ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাট্যাস দিতেই নেটপাড়ায় ওঠে সমালোচনার ঝড়। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, “তাদের এসব কথাবার্তা কেউ ভালো চোখে দেখছে না। এসব আমাদের ফিল্ম জগতকে অনেক নিচে নামাচ্ছে। টিভির সামনে এসে এসব কথা বলা ঠিক না। তোমাদের যদি সমস্যা থাকে তোমরা ম্যাসেজের মাধ্যমে কথা বলে ঠিক করো। কিন্তু তাদের কেউ কিছু বললেই সেটা নিউজে উঠে আসছে।”