নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ এর সঙ্গে ফেলুদা সিরিজের নতুন ছবি নির্মাণকে ঘিরে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় সন্দীপ রায়ের। কারণ পরিচালকের তাঁর ছবিতে ফেলুদা চরিত্রের জন্য পছন্দের অভিনেতা ছিলেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে। অন্যদিকে এই অভিনেতার জন্য বড় অঙ্কের টাকা এই ছবিতে বিনিয়োগ করতে রাজি ছিল না এসভিএফ। তাই প্রযোজনা সংস্থার পছন্দমত অভিনেতাকে নিয়ে কাজ করার কথা জানানো হয় পরিচালককে। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন সত্যজিৎ পুত্র। তৈরি হয় দ্বন্দ্ব।
এরপরই শুরু হয় নতুন প্রযোজনা সংস্থার সন্ধান এবং তা মিলেও যায়। একটি নয় দুটি প্রযোজনা সংস্থা এগিয়ে এসেছে সন্দীপ রায়ের আগামী ফেলুদা সিরিজের ছবির জন্য। এবং বলে রাখা ভালো শুটিং এর সমস্ত প্ল্যানিং ইতিমধ্যেই নাকি ছকে ফেলা হয়েছে। আগামী মাসে অর্থাৎ জুনের মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে এই ছবির শুটিং।
কিন্তু কী নিয়ে হঠাৎ করে এরকম গোল বাঁধলো শুধুই কি ফেলুদা চরিত্রের অভিনেতা নির্বাচনকে ঘিরে এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল? না তেমনটা নয়, বলে রাখা ভাল ফেলুদা সিরিজের এই ছবি অর্থাৎ ‘হত্যাপুরী’তে জটায়ু চরিত্রের অভিনেতা নির্বাচনকে ঘিরেও তৈরি হয় জটিলতা। একদিকে পরিচালকের পছন্দ জটায়ু চরিত্রের জন্য অভিজিৎ গুহ অন্যদিকে প্রযোজনা সংস্থার দাবি সৃজিতের শেষ ছবি ফেলুদা ফেরত এ জটায়ু চরিত্রে অভিনয় করা অনির্বাণ চক্রবর্তীকে নেওয়া হোক। এই নিয়ে নানা দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার পর হত্যাপুরী’এর শুটিং বন্ধ থাকলেও অবশেষে তা শুরু হচ্ছে আগামী মাসে।
যদিও সন্দীপ রায় জানিয়েছেন, প্রথম সারির ওই প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে তাঁর কাস্টিং নিয়ে মনোমালিন্য একেবারেই তাঁর ওপর কোনও প্রভাব বিস্তার করেনি। প্রযোজনা সংস্থার নিজস্ব কিছু মতামত বা দাবি থাকতেই পারে। দ্বন্দ্ব তৈরি হলেও সংবাদমাধ্যমের কাছে সেভাবে মুখ খোলেননি এবিষয়ে পরিচালক। ‘হত্যাপুরী’তে দেখা যাবে ফেলুদা অর্থাৎ প্রদোষ চন্দ্র মিত্র তোপসে এবং লালমোহনবাবুর সঙ্গে সমুদ্র দর্শন গিয়েছেন পুরী এবং সেখানেই সমুদ্র পাড়ে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আর সেখান থেকেই নতুন রহস্যের কিনারা শুরু হয়ে যায়।