নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় আছে, বাবাদের কাছে কন্যাসন্তান একটু বেশিই আদুরে হয়। আর মায়েদের কাছে পুত্র সন্তান হয় আব্দার প্রিয়। আমজনতার পাশাপাশি সেলিব্রিটিরাও এই যুক্তি খাটে। বিশেষ করে, সন্তানদের উপযুক্ত পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করে তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া সকল বাবা-মায়ের দায়িত্ব। আর সন্তান যদি মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে, সেটাও প্রতিটি মানুষের গর্বের। কেন বলছি এ কথা, জানতে হলে গোটা প্রতিবেদনটি পড়তে হবে। টলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা মিমি চক্রবর্তী। এককালে ছোটপর্দা দাপিয়ে এই মুহূর্তে বড়পর্দার প্রথম সারির নায়িকা। টলিউডের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গানের ওপারে’ থেকে তাঁর কেরিয়ার শুরু। একটাই ধারাবাহিকে অভিনয় করেই বড়পর্দায় সুযোগ পেয়ে যান তিনি। টলিউডের একাধিক সুপারস্টারের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি।
সাবলীল অভিনয়, মারকাটারি ফিগার, মিষ্টি চাহনি দিয়েই মুগ্ধ করেছেন গোটা রাজ্য বাসীকে। এই মুহূর্তে অভিনেত্রীর পাশাপাশি তিনি একজন তৃণমূল সাংসদও। লোকসভার নেত্রী হিসেবেও সমাজে তাঁর দারুণ পপুলারিটি। আজ ছিল, দেশের ২০২৩-২০২৪ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ডাক পড়েছিল মিমিরও। বুধবার ঠিক ১১ টা নাগাদ নয়াদিল্লির সাংসদ ভবনে বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন দেশের সমস্ত রাজনীতিদলের সাংসদরা। বাজেটের জন্য সংসদ ভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
তবে অভিনেত্রী একা নন, মা-বাবাকে নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি সংসদ ভবনে। সংসদ ভবনে মা-বাবার মাঝে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে রীতিমতো আবেগপ্রবণ নায়িকা। নিজের ইনস্টাগ্রামে ছবিগুলি জুড়ে অভিনেত্রী লেখেন, “আমার বাবার কথায়, এই দিনটা হল তাঁর জীবনের দ্বিতীয় সেরা দিন। প্রথম দিনটি ছিল, আমি যে দিন জন্মছিলাম” সন্তান আসার খবর সব মা-বাবার জীবনেই আনন্দের। তাই মিমির জন্মদিনও খুবই বিশেষ তাঁর মা-বাবার কাছে। তাই এবার তাঁর পালা মা-বাবাকে সব আনন্দ দেওয়ার। সেই কারণেই জীবনের দ্বিতীয় উপহারটি আজ দিলেন নায়িকা। সংসদভবনে মা-বাবাকে নিয়ে যাওয়ার যে তৃপ্তি, অভিনেত্রীর হাসিতেই ধরা পড়ল। মিমিকে শেষ দেখা গিয়েছিল, ‘খেলা যখন’ ছবিতে। যেটি ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মিমির পরের ছবি। এদিকে শোনা যাচ্ছে, বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে খুব শীঘ্রই বলিউডে পসার জমাতে চলেছেন অভিনেত্রী।