নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আগেই নামি কেক প্রস্তুতকারক সংস্থা মিয়ো আমোরের রূপঙ্করের গাওয়া জিঙ্গেল বাদ দেওয়ার পর রূপঙ্করের গাওয়া কোনও গান না বাজানোর সিদ্ধান্ত নিল শহরের আরো এক নামি রেস্তোরাঁ। যাদবপুরের এক নামি রেস্তোরাঁ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা তাদের রেস্তোরাঁয় রূপঙ্করের গাওয়া কোনও গান চালাবেন না। রেস্তোরাঁর বাইরে এই সংক্রান্ত নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। যেখানে জানানো হয়েছে জনস্বার্থে ও মানুষের বিক্ষোভের কথা মাথায় রেখে রূপঙ্কর বাগচীর গান তাঁরা না বাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ওই রেস্তোরাঁয় খাবারের পাশাপাশি অন্দরসজ্জা এবং তার সঙ্গে বাঙালি গায়কদের নানা সময়ের গান চালানোর জন্য সুনাম আছে। এই কারণেই গ্রাহকদের কাছেও রেস্তোরাঁটি ভীষণভাবে পছন্দের। বিভিন্ন বাঙালি গায়ক দের পাশাপাশি সেই তালিকায় ছিলেন রূপঙ্কর বাগচীও। চলতো তাঁর গাওয়া গান। কিন্তর.৩১ মে-এর পর থেকে পাল্টে গেছে পুরো প্রেক্ষাপট। প্রথমে জনপ্রিয় গায়ক কে কে-কে নিয়ে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য এবং তারপরেই কাকতালীয়ভাবে কে কে-এর মৃত্যু যেন ঘৃতাহুতি দিয়েছে রূপঙ্করের ওই মন্তব্যে। যার জেরে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়েন গায়ক। বেশ কয়েকদিন এরকম চলার পর শেষ পর্যন্ত কলকাতা প্রেসক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এসে জনসমক্ষে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন রূপঙ্কর বাগচী। তারপরেও বিতর্ক চলছেই।
বেশ কিছুদিন আগেই শহরের নামী কেক প্রস্তুতকারক সংস্থা তাঁর গাওয়া জিঙ্গেলটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। নেট মাধ্যমে জানায় যে ১ জুন থেকে তাঁরা আর গায়কের গাওয়া এই জিঙ্গলটি বাজাচ্ছেন না। রূপঙ্করের সঙ্গে ভবিষ্যতে তাঁরা আর কোনও কাজও করবেন না বলে জানান। এবং যথাসময়ে নতুন জিঙ্গল নিয়ে ভাবনাচিন্তা হবে বলে ওই কেক সংস্থার তরফে জানানো হয়। রূপঙ্কর বাগচীর করা কে কে-এর উদ্দেশ্যে যে মন্তব্য তাকেও শহরের ওই নামি কেক সংস্থা যে সমর্থন করে না তাও জানিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার সেই তালিকায় যোগ দিলো শহরের আরও এক রেস্তোরাঁ। যেখানে আর কোনভাবেই বাজবে না রূপঙ্করের গান।