নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাগ্না-ভাগ্নির কাছে মামারা সবসময় প্রিয়। তেমনি মামাদের কাছেও মামারা খুবই স্নেহের। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকাদের কাছেও এই সম্পর্কটা অতীব কাছের। এমনই একটি উদাহরণ সুপারস্টার সলমন খান এবং তাঁর ভাগ্নি আলেজেহ অগ্নিহোত্রীর সম্পর্ক। সবেমাত্র বলিউডে ডেবিউ করেছেন অলিজেহ। আর তাতেই দর্শকদের কাছে খুব কাছের হয়ে উঠেছেন। সলমানের ফোন আলভিরা খানের মেয়ে অলিজেহ অগ্নিহোত্রী। সাইবারবাসীদের কাছেও অলটাইম ফেভারিট তিনি। যেমন তাঁর সৌন্দর্য, তেমনি তাঁর ফিগার, সবেতেই কুপোকাত নেটপাড়া। গতবছর সলমানের পোশাক ব্র্যান্ডের মুখ হয়েছিলেন তিনি। তখনই শোনা যায়, তিনি বলিউডে ডেবিউ করছেন ‘ফ্যারি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। তাঁর অভিনয়ও নজরকাড়া।
যাই হোক, সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর তিন মামার সম্পর্কে নানা অজানা কথা জানালেন অভিনেত্রী। জানালেন, সলমন খান বলিউডের দাবাং খান হলেও তিনি এখনও হৃদয়ে শিশু। যখনই সে তার আশেপাশে থাকে, তাকে মনে করিয়ে দেয় যে, একজন এত বড় সুপারস্টার হওয়া সত্ত্বেও ‘হৃদয়ে তরুণ থাকা’ উচিত। এমনকী আলিজেহ তাঁর মামাকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করতে চান বলে জানিয়েছেন। আলভিরা খান অগ্নিহোত্রী এবং অতুল অগ্নিহোত্রীর মেয়ে আলিজেহকে সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের রাইজিং ভারত সামিটের প্যানেলে সালমান খান, আরবাজ খান এবং সোহেল খানের মধ্যে তার প্রিয় মামাকে বেছে নিতে বলা হয়েছিল। তবে তাঁদের মধ্যে কাউকে বেছে না নিয়ে আলিজেহ স্মার্টলি বললেন, “আমি বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন মামার কাছে যাই। যদি আমি হাসতে চাই, আমি সোহেল মামুর কাছে যাই। তিনি প্রচুর রসিকতা করেন। আরবাজ মামু উপদেশ দিতে দুর্দান্ত, তিনি খুব ভাল কথা বলেন এবং স্পষ্টভাষী। তাই, যখন আমার নির্দেশনার প্রয়োজন হয়, আমি তাঁর কাছে যাই।”
শেষে আলিজেহ সলমানের বিষয়ে বলেন, “সলমান মামু, তার চারপাশে থাকা সবথেকে ভাল একজন মানুষ। কারণ তিনি আপনাকে মনে করিয়ে দেন যে তোমার হৃদয় সবসময় তরুণ হওয়া দরকার। সে এখনও শিশু। মাঝে মাঝে, যখন আমি তার আশেপাশে থাকি, তখন নিজেকে আরও ছোট মনে হয়।” আলাপচারিতার সময়, আলিজেহও এও শেয়ার করেছেন যে তিনি যদি একজন অভিনেতা না হতেন তবে তিনি একজন পরিচালক হতেন। আর মামু সালমানকে পরিচালনা করতেন।