নিজস্ব প্রতিনিধি: গত বছর কলকাতার মানুষজনের কাছে একটি ঐতিহাসিক দিন ছিল। তৃণমূলের আয়োজিত ‘জনগর্জন’ সভায় জনগণকে সামনে রেখেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে দল। এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল জনসমক্ষে ঘোষণা করল ভোটযুদ্ধে সামিল প্রার্থীর নাম। যাইহোক, এবারের প্রার্থী তালিকায় একগুচ্ছ নতুন নাম উঠে এসেছে, বাদ পড়েছে একাধিক পুরোনো নাম। যার মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গত ৩ বছর ধরে একপ্রকার স্বপ্ন নিয়েই বাঁকুড়ার মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। প্রার্থী নামের তালিকায় বাঁকুড়ার প্রার্থী হয়েছেন অন্য কেউ। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে ভোটে অভিনেত্রী হেরে গেলেও তিনি তৃণমূলের দায়িত্ব পূর্ন দুটি পদ পেয়েছিলেন।
কিন্তু ১০ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের টিকিট না পাওয়ায় রাতেই ইস্তফা একটি চিঠি লিখে দলকে পাঠান অভিনেত্রী। কিন্তু পরে সেটা জানা যায়, ওটা ফেক। অভিনেত্রী আদেউ এমন কোনও চিঠি লেখেন নি। তৃণমূলের হাত কখনই ছাড়বেন না তিনি। তবে অভিনেত্রীর একটি অভিমান হয়েছে। কেন তাঁকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীর জন্য উপযুক্ত মনে করা হল না, সেটাই তিনি দলকে জিজ্ঞাসা করবেন। এদিকে গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর মাথা ফেটে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রীও। মমতার মাথা ফেটে যাওয়ার ছবি ভাগ করে অভিনেত্রী তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। সঙ্গে জানান দেন যে, তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন তিনি। এদিকে ভোটে প্রার্থী হতে না পারায় থেমে নেই তিনি। অভিনয়েই ফিরছেন।
শুরু করেছেন বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজের জন্যে জোরদার প্রস্তুতি। এতদিন অভিনয় থেকে দূরে বাঁকুড়াতেই মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তিনি। অংশ নিয়েছিলেন দলীয় নানা কর্মসূচীতে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের একাধিক প্রজেক্ট রয়েছে তাঁর হাতে। পাশাপাশি চলছে শরীরচর্চাও। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রামে ঘুরে এলেই দেখা যাবে সেই দৃশ্য। প্রসঙ্গত, লোকসভার প্রার্থী না হওয়ার অভিমানে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ”ভালবাসা থাকলে অভিমান থাকবে। একটা বিধানসভায় হেরে সাতটি বিধানসভায় এবার লোকসভা নির্বাচনে জিতে দেখাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ আমাকে নিতে দেওয়া হল না। আক্ষেপ তো থাকবেই। এটাই আমার সবথেকে বেশি খারাপ লাগা।”