নিজস্ব প্রতিনিধি: হিন্দির সঙ্গে এক্কেবারে পাল্লা দিয়ে আমাদের বাংলা ইন্ডাস্ট্রি দাপট দেখাচ্ছে। করোনা আবহ কাটিয়ে টলিপাড়াও রীতিমতো জেগে উঠেছে। প্রত্যেক মাস প্রায় একগুচ্ছ বড় পর্দার সিনেমা রিলিজ করছে। কোনো কোনো ছবি দর্শকদের মনে এতটাই রাজত্ব করছে যে হলে হলে হাউস ফুলের ধুম লেগেই রয়েছে, আবার এক ছবি দর্শক মন জয় করতে পারে নি, সেই ছবির আয় শুরুতেই মুখ থুবরে পড়েছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, একই সিনেমা হলে সদ্য মুক্তি পাওয়া বাংলো ছবি রাজত্ব সৃষ্টি করলেও সেই আয়ের লড়াইতে রাজত্ব করছে মাত্র একটাই নাম। দুর্গা পুজোর প্রাক্কালে বা গত ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে একগুচ্ছ বাংলা ছবি। পুজোর মরশুমে ভালো ব্যবসা করার আশা নিয়ে রীতিমতো খসড়া সাজিয়ে বসেছিল টলিউড।
টলিউডের মোট চারটি ছবি, ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’, ‘কাছের মানুষ’, ‘বৌদি ক্যান্টিন’ এবং ‘মিশন এভারেস্ট’-প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। দেব, আবীর চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-সহ প্রায় প্রতিটি ছবিতেই ইন্ডাস্ট্রির তাবড় তাবড় তারকাদের দেখা মিলেছে। কিন্তু বক্স অফিসের দৌড়ে এগিয়ে থাকল কে? প্রথম দিন থেকেই টিকিট বিক্রির নিরিখে সবার থেকে এগিয়েছিল ‘সোনাদা’ অর্থাৎ রক্তে কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন। এক সপ্তাহ পরেও একই ভাবে এগিয়ে বাইরের গুপ্তধন। পুজোয় ‘গুপ্তধন’-এর সন্ধানে প্রেক্ষাগৃহে কাতারে কাতারে ভিড় জমিয়েছিল দর্শক।
সেই উন্মাদনার প্রতিফলন ছবির আয়েও। এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটির ব্যবসা করে ফেলছে এই ছবি। ‘বেলাশুরু’, ‘অপরাজিত’ থেকেও ব্যবসায় এগিয়ে গেল ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’। ওদিকে দেব এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘কাছের মানুষ’ও বক্সঅফিসে রীতিমতো ঝড় তুলেছে। তবে সোনা দার থেকে কম, বিগত সাতদিনে এই ছবি ব্যবসা করেছে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ। তবে আয়ের নিরিখে এই দুই ছবির থেকে কয়েক যোজন পিছিয়ে ‘বৌদি ক্যান্টিন’। বক্স অফিসে এই ছবির আয় মাত্র ২০-২৫ লাখ। তবে পুজোয় বাঙালিকে হলমুখী করেছে হৃতিক-সইফ আলি খানের ‘বিক্রম বেদা’। যার ভাঁড়ারে এখনও পর্যন্ত এসেছে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। ওদিকে মণি রত্নমের ‘পন্ন্যিয়িণ সেলভান ১’এর বক্স অফিস আয় প্রায় ৩০০ কোটি ছাড়িয়েছে।